Pushpita Mukherjee: টেলিভিশন তথা বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়(Pushpita Mukherjee)। একাধিক ধারাবাহিক, সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা (Pushpita Mukherjee)। তবে বর্তমানে খুব একটা বড় পর্দাতে দেখা যায় না তাকে, ধারাবাহিকেই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
বর্তমানে কয়েকদিন আগেই দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে খেলতে এসেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে এসেই তার জীবনে নিজের ছেলেকে নিয়ে নাজেহালের কথা শোনান তিনি। অভিনেত্রী মাঝপথে অভিনয় জগত থেকে সরে এসেছিলেন একমাত্র ছেলের কারণেই। ছেলের জন্যই নিজের ক্যারিয়ার জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। ছেলেকে নিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল অভিনেত্রীর।
পুষ্পিতা জানান তার ছেলের অসম্ভব গেমিং এর নেশা। মোবাইল ফোনে সারাক্ষণ আটকে থাকে। যত নষ্টের গোড়া মোবাইল ফোনে থাকা ওই গেম। ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশোনা না করে মোবাইলে একটানা গেম খেলে যেত সে। ছেলেকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিতে হয় অভিনেত্রীকে।
গেমিংয়ের এই আসক্তি কাটাতে না পেরে বাধ্য হয়ে ছেলেকে দিল্লির হোস্টেলে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেন অভিনেত্রী। কাজের সূত্রে অভিনেত্রীর স্বামীও দিল্লীতে থাকেন। তবে বাবার সঙ্গে থাকছে না ছেলে, ছেলেকে আলাদা হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছেন পুষ্পিতা এবং তার স্বামী।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। বাধ্য হয়েই দিল্লিতে পাঠালাম। যদি হস্টেলে থেকে কিছুটা উন্নতি হয়।’ ছেলের সম্মতি নিয়েই তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুষ্পিতা বলেছিলে, ‘ছেলেটা ভালো নেই একদম। কথা শোনে না। দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। আমি ওর বাবা দুজনেই।’ তিনি এরপর আরও যোগ করেন, ‘সব ট্রাই করেছি আমরা।
টাকা ঢেলেছি, নানা জিনিসে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু নেট রেজাল্ট জিরো। পড়াশোনায় জিরো। কিছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না, এত ফোনের নেশা ওর।’ গরমের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলে ছেলে, কদিন থেকে গেছে এখানে। পুষ্পিতা মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে ছেলের কাছে যান দিল্লিতে।