Rituparna Sengupta: আরজিকর কান্ডে একের পর এক মিছিল সমাবেশে হাজির হয়েছে সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে টলিউডের সেলিব্রেটিরা। প্রথম দিকে এই মিছিল সমাবেশে টলিউডের সেলিব্রিটিদের উপস্থিত থাকতে না দেখে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের নিয়ে। তবে এর পরে বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে দেখা গিয়েছে তারকাদের। এমনকি ১৪ই আগস্ট মেয়েদের রাত দখলের দিন উপস্থিত থাকতে পারেনি অনেক সেলিব্রেটিরা।
সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত শঙ্খ বাজিয়ে সকলের পাশে যে তিনি রয়েছেন সেই বার্তা দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। যা নিয়ে বর্তমানে রীতিমতন কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন ঋতুপর্ণা, তাই রাত দখলের দিন সামিল হতে পারেনি, তবে শঙ্খ বাজিয়ে সমর্থন করতে দেখা গেছে। কিন্তু সেই নিয়ে নেটপাড়ায় উঠে এল অন্য ছবি। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠলো মিমে। শঙ্খ বাজানোর ধরন নিয়ে রীতিমত কটাক্ষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। কিন্তু এটা কি আদপে কটাক্ষ করার সময়! এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ অভিনেত্রী। লক্ষ্য থেকে সরে গেলে হবে না, এখন কে কী করছে, তার থেকেও বেশি জরুরী কে কীভাবে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে, পাশে থাকছে।
ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta) নিজের পোস্টে লেখেন ”কলকাতা বা সারা বিশ্বে বসে আমাদের সকলকে আলোড়িত করেছে এমন একটি ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে শঙ্খ বাজানোয় কোনও নাটক হতে পারে না। এই অপরাধের নৃশংসতা মেরুদন্ডে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দেয়। তা আপনার হোক বা আমার। বাড়িতে আমার নিজের একটা মেয়ে আছে। তাই যদি কেউ মনে করেন, যে আমার কান্না ভেজা চোখে, মেকআপ না করা লুকে শঙ্খে ফুঁ দেওয়া নাটক ছিল, তাঁদের অবশ্যই জানা উচিত যে আমাদের সমাজে এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এটাই আমার পদক্ষেপ ছিল।
যাঁরা মনে করে যে, তাঁরা সহজেই পালিয়ে যেতে পারেন এবং এই প্রতিবাদগুলি শেষ পর্যন্ত হারিয়ে যাবে, আমি নিশ্চিত এইবার, আমরা এটাকে আর নীরবে নিভে যেতে দেব না। আমরা এখন যুদ্ধের পথে যাব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধ শুরু করার সময় এবং শেষ করার জন্য শঙ্খ বাজাতেন। আমি একজন পেশাদার শঙ্খ বাদক নাও হতে পারি, এবং হ্যাঁ, আমি এটি বাজাতে পারফেক্ট নাও হতে পারি। আমার উদ্দেশ্য ছিল কেবল কথায় নয় বরং কর্মের মাধ্যমে বলা যে এটা সত্যি একটা যুদ্ধ। ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় নামব।
আমার কলকাতা তোমাদের সকলকে নিয়ে গঠিত, আমি এখানে আছি কারণ আপনারা ওখানে আছেন। ন্যায়বিচারের জন্য যুদ্ধের সময়, আমরা অন্য কোনও মহিলাকে নিয়ে উপহাস না করি। নারী হিসাবে, আমরা একসঙ্গে এই লড়াই লড়ব, আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের চিৎকারে হবে ন্যায়বিচার হবে।’
মহিলা চিকিৎসকের প্রতি হাওয়া অন্যায়ের বিচার চাইতে এখন পথে নামছে সাধারণ জনতা। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে মিছিল এবং সমাবেশ। বিচার চাইতে নানান রকমের স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের উপর থেকে বিচারের তদন্তর ভার সরিয়ে দিয়ে সিবিআই এর উপর ভার দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। বর্তমানে সিবিআই এর উপর ভার রয়েছে আরজিকর কান্ডের তদন্তের। প্রত্যেকেই বসে রয়েছে সুবিচারের আশায়।
আরও পড়ুন: Vikram Chatterjee: রাখিতে বোনকে জড়িয়ে ছবি; কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন বিক্রম