Sourav Ganguly: নারী নির্যাতনের ঘটনায় শহর তথা দেশ জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি।নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। বাদ থেকেছেন না তারকারাও। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করছেন শঙ্খ বাজছেন যে যেমন পাচ্ছে সেই ভেবেই প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু কিছু দিন কিছুদিন আগে আর জি কর ইস্যতে মুখ খুলতে গিয়েছে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটিকে ”বিচ্ছিন্ন ঘটনা” বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
যিনি বাংলার মহারাজ। যিনি কিনা বাংলার ক্রীড়া আইকন। তিনি দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ও যিনি প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি। এই সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Sourav Ganguly) যাকে কিনা প্রচুর তরুণ প্রজন্ম যাঁকে আদর্শ মনে করে। তার মুখে এরম কথা! ক্ষেপে গিয়েছিলেন বাংলার মানুষ। দিকে দিকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সৌরভের নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই।
টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটির পর সাময়িক বিশ্রামের জন্য আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) চার তলায় সেমিনার হলে গিয়েছিলেন ৩১ বর্ষীয় ট্রেনি চিকিৎসক। আর রোগী দেখার কাজে ফেরা হয় নি তাঁর। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। নারী নিরাপত্তার গলদ যে রয়েছে প্রচুর, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে। তাঁরা নাকি প্রথমে ট্রেনি চিকিৎসকের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তরুণীর বাড়িতে ফোনেও ‘আত্মহত্যা’র কথাই জানানো হয়। পরে চাপের মুখে সামনে আসে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। জানা যায় মৃত্যুর আগে নৃশংস অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিলো আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital Rape) স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করা ঐ ট্রেনি চিকিৎসক’কে।
এই বিষয়ে আরো একবার মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হয়েছে।এর আগে আর জি কর ইস্যুতে প্রশ্ন করায় সৌরভ বলেছিলেন, ‘।” তাঁর সংযোজন ছিল, ‘মেয়েদের নিরাপত্তা পশ্চিমবাংলা-ভারতবর্ষে সর্বত্র আছে। ভারত অত্যন্ত ভাল দেশ। পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত ভাল রাজ্য। ভাল শহরে আমরা বাস করি। একটা ঘটনা দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। কিন্তু এই ঘটনায় অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।’
কিন্তু এইবার তার ব্যাখা নিজের দিলেন সৌরভ বললেন,”খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যপার। নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এটা যে কোনো জায়গায় হতে পারে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা উচিৎ। এটা মোটেই ঠিক নয়। খুবই গর্হিত অপরাধ।”আগেও বলেছিলাম যে এটা ভয়ঙ্কর ইস্যু। কিন্তু আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা হয়েছে। এখন আন্দোলন অনেকটা এগিয়েছে। সিবিআই এবার দায়িত্ব নিয়েছে। তদন্তভার নিয়েছে তাঁরা।
এই ঘটনা ভীষণই লজ্জাজনক। আশা করব সিবিআই যাঁরা তদন্ত করছে, দোষীদের চিহ্নিত করতে পারলে কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে পরবর্তী সময়ে এরকম কিছু করার আগে মানুষ বারবার ভাববে।” সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে সৌরভ বলছেন, ”একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেন বেহাল না হয়। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা দফতর এই স্বাস্থ্য। এমার্জেন্সিতে চিকিৎসকদের প্রয়োজন মানুষের।”