Government Employee: বাঙালি সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর সেই পুজো আস্তে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন উৎসবের মরশুমে ছোট থেকে বড় সবাই মেতে ওঠেন, ইতিমধ্যেই পূজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা তারপরই সবাই মেতে উঠবেন বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবে। পুজোর কয়েকটা দিনে মানুষের আনন্দের শেষ থাকে না পুজোর সময় সব অফিস, কাচারি কদিন ছুটি থাকে এবং সরকারি কর্মীরা তো পূজোর বোনাস ও পেয়ে থাকেন। তবে গত শনিবারই নবান্নের পক্ষ থেকে সরকারি কর্মীদের প্রতি কড়া বার্তা স্বরূপ একটি নোটিশ জারি করা হয় যাতে পুজোর ছুটি ও কাজের ফাঁকি নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় সরকারি কর্মীদের জন্য। পুজোর আগেই পুজোর ছুটির এই বার্তা নিয়ে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে সরকারি কর্মীদের।
বিজ্ঞপ্তিতে সাফ সাফ জানানো হয়েছে, কাজে ফাঁকি দিলে আর রক্ষে থাকবে না। উল্লেখ করা আছে, সরকারি কর্মীদের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ দ্রুততার সঙ্গে এবং ঠিকমতো করতে হবে। কোনওরকম বাহানা করা যাবে না। অফিস আসতে হবে। যদি কেউ কাজে গাফিলতি দেখান তাহলে সার্ভিস রুলের আওতায় কর্মচারির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১) দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ করতে হবে।
২) নাগরিক পরিষেবার কাজ যেমন গ্রামীণ আবাস, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল সরবরাহ ইত্যাদি প্রকল্পের কাজে নজর দিতে হবে।
৩) প্রত্যন্ত জায়গাতে গিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের টাকা পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে।
সরকারি কর্মচারীদের অহেতুক ছুটি ও কাজে ফাঁকি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, চার মাসে এমনিই তেমন কোনও কাজ হয়নি। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে আগামীকাল সোমবার নবান্নে বৈঠক করতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে বৈঠক করবেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও। কিন্তু তার আগেই গত শনিবার এই কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্ন কর্তৃক।