“যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে” এই প্রবাদ টি শুনেছেন নিশ্চই। একটা মেয়ে চাইলে কি না করতে পারে। সমস্ত রকমের অসাধ্য সাধন সম্ভব তার দ্বারা। প্রবল ইচ্ছে ও অধ্যাবসায় এর জোড়ে আই পি এস অফিসার হওয়ার পরেও তিনি কাজ করছেন বলিউড এ। হ্যাঁ এই ওসম্ভব কে সম্ভব করেছেন ভোপালের সিমলা প্রসাদ। এই মহিলা আই পি এস অফিসার নজির স্থাপন করেছেন। সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মতন কাজ সে করেছে।তার এই অসাধ্য সাধনের গল্পটি শুনে নেওয়া যাক ।
ভোপালের মেয়ে হয়ে তাঁর এই অসাধ্য সাধনের লড়াই। ১৯৮০ সালে ভোপালেই জন্মান তিনি। ওখান থেকে পড়াশুনা করেন। স্কুল শেষ করে তিনি বি.কম ডিগ্রী এর জন্যে কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন এবং ভোপালের বরক তুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি উপার্জন করেন।
একজন পুলিশ অফিসার এর পাশাপাশি তার কেন এই পেশা ? শুনুন তাহলে। সিমলা ছোট থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি নাচ করতে খুবই ভালোবাসতেন। নাচ , অভিনয় এসবই ছিল তার ভালো লাগার জিনিস। অনেক নাটক ও তিনি করেছেন স্কুল , কলেজ এ। ২০১৭ সালে আলিফ (Alif) এবং ২০১৯ সালে নক্কাশ (Nakkash) এর মতন বলিউড (Bollywood) সিনেমাতেও (Movie) তিনি কাজ করেছেন।
ভারতের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা UPSC । এখানে তিনি একবারেই সাফল্য অর্জন করেছেন কোনো রকমের টিউশন ছাড়াই। নিজের লড়াই তিনি নিজেই লড়েছেন। তিনি প্রথমে মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দিয়ে সেটাতে পাশ করেন। পরে সেখান থেকে ডি এস পি পদে নিযুক্ত হন। এবং তিনি ২০১০ সালে আইপিএস পরীক্ষায় পাশ করে মধ্যপ্রদেশ এর একজন পুলিশ অফিসার হয়েছেন