Traffic Rules: দুই চাকা হোক কিংবা চারচাকা রাস্তায় গাড়ির বহর। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তড়িঘড়ি যাওয়ার জন্য ভরসা করতেই হয়, গাড়ি কিংবা বাইকের উপর। তবে রাস্তাঘাটে চলতে গেলে মানতে হয় ট্রাফিক রুল। শুধু তাই নয় পরিবহন দপ্তরের রয়েছে নানান রকম নিয়ম। কখনো কখনো আবার নিজের অজান্তে ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে ফেলে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর জন্য কখনো জেল আবার কখনো জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ হিসেবে স্বাধীন দেশে গাড়ি চালাতে গেলে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এই নিয়ম কানুন মেনে গাড়ি না চালালে পড়তে হয় বিপদে। কেবলমাত্র দেশের স্বার্থে নয় নিজের সুরক্ষার জন্য মেনে চলা উচিত এইসব নিয়ম। ভুলবশত যদি গাড়ির চালক ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করেন সেক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী বিপদের মুখে পড়তে হয়।
ট্রাফিকের চালান কাটা কিংবা জরিমানা নিয়ে নানান রকম অভিযোগ শোনা যায় নিরন্তর। অনেক সময় আবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত জরিমানা করার অভিযোগ ওঠে পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে। তবে রাস্তায় চলতে গেলে নিয়ম জানতে হবে সবাইকেই। ঠিক যেমনই ইচ্ছে করলেই আপনার গাড়ি থেকে চাবি খুলে নিতে পারেন না কোন কনস্টেবল পদমর্যাদা ট্রাফিক পুলিশ।
এমনকি ইচ্ছে করলে তিনি গ্রেফতার করতে পারেন না আপনাকে। কেবল অপরাধের জন্য ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ই চালান কাটা মেশিন এবং ট্রাফিকের পোশাক পড়ে থাকতে হবে তাকে। কেবল পুলিশের ড্রেস পড়ে থাকলেই চলবে না কিছু নিয়ম মানতে হবে তাকে। ভয় না পেয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন।
১৯৩২ ট্রাফিক আইন অনুযায়ী কেবলমাত্র একজন এএসআই কিংবা এস আই পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার এই ক্ষমতা পেতে পারেন। তারাই একমাত্র জরিমানা করতে পারেন। কোন উচ্চপদস্থ আধিকারিক অবশ্য এই কাজের কনস্টেবলকে সাহায্য করতে পারেন। ইচ্ছে করলেই গাড়ি থেকে টায়ার কিংবা চাবি খুলে নেবার অধিকার কারোর নেই।
শুধু তাই নয় ইচ্ছে করলেই রাস্তায় বেরিয়ে কোন যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারবেন না ট্রাফিক কনস্টেবল। কোনভাবেই হয়রানির শিকার হলে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানানোর নিয়ম রয়েছে। রাস্তায় বেরোলে যেমন আইন জানতে হবে, তেমনই ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: Begun Korma: পূজোয় একবার রান্না করুন এই নিরামিষ পদ, মাছ মাংস ছেড়ে চেটেপুটে খাবে সকলে