Train Rules: ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত হয়েছিল রেললাইন। তারপর ব্রিটিশরা ভারত ছাড়লে আরো উন্নত হয় রেল ব্যবস্থা। বর্তমানে ভারতীয় রেল পরিবহনের এক অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ যাতায়াত করেন এই রেলের মাধ্যমে। রেলের উপর নির্ভরশীল ২ কোটি মানুষের আয়। কতশত মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে রেলের উপরে নির্ভর করে থাকেন। ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক দিন দিন হচ্ছে আরও উন্নত।
ট্রেন মিস করলেও নেই চিন্তা:
বিশেষ করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ এবং যাত্রী স্বাধীনতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে ভারতীয় রেল এবং কেন্দ্র সরকার। তবে ট্রেনযাত্রার সময় নানান রকম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। অনেকে ভিড়ের কারণে ট্রেন ধরতে পারেন না। আবার কেউ নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেন না। ট্রেন থেকে ওঠা এবং নামার ক্ষেত্রে নানান ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এবার আর সেই ঝামেলা হবে না যাত্রীদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে আসছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেল জানাচ্ছে কোন যাত্রী যদি তার টিকিটের উল্লেখ করার স্টেশনে ট্রেন ধরতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আর বাড়তি চিন্তার ভাঁজ ফেলতে হবে না কপালে। পরবর্তী দুটি স্টেশন থেকে তিনি সহজেই ট্রেনে উঠতে পারবেন।
কিভাবে ধরবেন ট্রেন:
যেমন কেউ যদি বারাসাত থেকে ট্রেন ধরতে না পারেন তবে হৃদয়পুর কিংবা দত্তপুকুর থেকে সহজেই ট্রেনে উঠতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে সেই ট্রেনের মেন লাইন যাতে হয় বনগাঁ। এই নিয়ম যাত্রী সাধারণ জন্য অত্যন্ত সুখকর হবে বলেই বিশ্বাস রেলের। এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতেও পারবেন তারা। কেউ সঠিক স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে না পারলেও অন্য কোন পরিবহনের মাধ্যমে পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারেন। যদি কোন যাত্রী ট্রেন মিস করেন তবে তাকে আর চিন্তা করতে হবে না। পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। নিজের পছন্দের ট্রেন ধরে ফেলতে পারবেন যাত্রাপথ থেকেই। অফিস যেতে বা অফিস থেকে ফিরতে সুরক্ষার বিষয়টিও ভাবতে হবে না।
অপব্যবহার নয়:
এক্ষেত্রে ট্রেনে টিটি উঠলে তিনি গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেবেন ছাড়। তবে এই নিয়মের ক্ষেত্রে কোন অপব্যবহার যাতে না হয় সেদিকেও সতর্ক করেছে রেল। টিকিট সর্বদা নিজের কাছেই রাখতে হবে। বিকল্প ক্ষেত্রে টিকেট রাখা বাঞ্ছনীয়। জরুরী পরিস্থিতি অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। যাত্রীদের যাত্রা সুগম এবং দীর্ঘ করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতীয় রেল।