Hair Care: বর্তমানে ভেজাল খাবার এবং ছন্নছাড়া জীবনযাপনের কারণে আমাদের শরীরের উপর প্রভাব এবং এই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের চুলের উপরে এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ছে। মানুষের মানসিক চাপ এবং আর অন্যান্য সমস্যার কারণে চুল অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। তাই এখন সকলেই নিজের ত্বক এবং চুলের বিশেষ যত্ন নেন (Hair Care) কিন্তু চুলের যত্ন নেবার ক্ষেত্রে এখনো আমরা অনেকেই আমাদের মা ঠাকুমাদের আমলের কিছু ঘরোয়া টোটকার উপরেই বিশ্বাস করি।
চুলের যত্নের ক্ষেত্রে চালের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। চাল হল এমন একটি ঘরোয়া উপাদান যা আমাদের চুল এবং ত্বক দুইয়ের জন্যই ভীষণ উপকারী। যদি নিয়মিত চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে তাহলে লম্বা ঘন কালো কুচকুচে চুল আপনি পেতে পারেন। কোরিয়ান রূপচর্চায় চালের ব্যবহার কিন্তু আমরা প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাই, কি ত্বকের পরিচর্যা, কি চুলের পরিচর্যা, সমস্ত কিছুতে চাল ভীষণ উপকারী। চলুন তাহলে আজ আপনার চুলের যত্নের জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস শেয়ার করে নেওয়া যাক।
চুলে যদি আপনি নিয়মিত চাল ভেজানো জল দিতে পারেন তাহলে খুবই উপকার পাবেন। সেই ক্ষেত্রে সারারাত্রি সেই চাল জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনার চুল যতটা ততটা পরিমাণ জল নিতে হবে। লম্বা চুল হয়, তাহলে এক কাপ চাল দিতে হবে, এক লিটার জল নিতে হবে। ছোট চুল হলে সেই অনুযায়ী জল এবং চালের পরিমাণ কমাতে হবে। সেই জল যদি আপনি নিয়মিত চুলে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে কয়েকদিনের তফাৎ লক্ষ্য করবেন।
আপনার চুল সিল্কি হয়ে উঠবে কয়েকদিনের মধ্যেই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাইরে থেকে আর কোন কেমিক্যাল যুক্ত পদার্থ ব্যবহার করতে হবে না। চালের জল চুলকে অনেক বেশি সুন্দর করে। যারা চাইছেন চুলকে অনেক বেশি সহজে লম্বা, কালো, কুচকুচে করতে তাহলে কিন্তু তারা চালের জল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অতিরিক্ত চালের জল ব্যবহার করলে চুল অনেক বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে চালের জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল বা ফ্রেশ জেল ব্যবহার করে নিতে পারেন।
এছাড়া চালের এই জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল, পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেটাকে ভালো করে মাথায় মাসাজ করতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে বা শ্যাম্পু করার পরে এটা ব্যবহার করুন। তারপরে আরেকবার শ্যাম্পু করে নিন। এতে করে আপনার চুলের খুশকির সমস্যা দূর হবে। বিশেষ করে শীতকালে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন, তারা কিন্তু এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।