Civic Volunteers: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেমন পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম ঠিক তেমনভাবেই সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়াররাও। ট্রাফিক সামাল দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধের কিনারা করায় সিভিকের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন সময় পুলিশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নানান দায়িত্ব পালন করেন তারা। পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন সিভিক পুলিশরা। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ার দের কাজকর্ম নিয়ে নানান রকম অভিযোগ উঠে এসেছে বারবার।
বড় নির্দেশিকা:
কেউ কেউ বলছেন পুলিশের থেকেও নাকি বেশি দাদাগিরি করেন তারা। এবার তাই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। বরাবর সিভিক ভাইদের কথা ভেবেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাদের ভাতা থেকে অন্যান্য সুবিধা দিয়েছেন বাড়িয়ে। এমনকি সিভিক থেকে সরাসরি পুলিশে নিয়োগের বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় ট্রাফিক তদারকির পাশাপাশি থানায় নানান রকম দায়িত্ব পালন করেন তারা। তবে অনেক কিছু কাজ রয়েছে যেগুলি সিভিক দিয়ে করানো যায় না।
যেমন তারা কোন জায়গায় তল্লাশিতে যেতে পারেন না থানায় GD এন্ট্রি করতে পারেন না, এমনকি পুলিশের তদন্ত সংক্রান্ত কোনো ফাইল দেখতে পারেন না তারা। কিন্তু যেগুলি তাদের এক্তিয়ারে নেই ঠিক সেই কাজই করছেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। বলা ভালো কোথাও তাদের দিয়ে করানো হচ্ছে। অধিকাংশ থানাতেই এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে।
এই সকল কাজ নিয়ে এবার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন নবান্ন। বিশেষ করে আরজি কর কান্ড নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছে নবান্ন। সিভিকদের এই গাজোয়ারী বন্ধ করতে এবার তৎপর নবান্ন। ইতিমধ্যেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বা নিয়ম ভঙ্গ করে যারা কাজ করবেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। শুধু তাই নয় নবান্নের এই নির্দেশিকায় অনেকটাই আশাবাদী সাধারণ মানুষ। এতে সিভিকের দৌরাত্ম্য তো অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী তারা।
আরও পড়ুন: LIC এর এই বার্ষিক যে প্রিমিয়ামে বিনিয়োগ শেষে পাবেন তার ৭ গুণ টাকা, জেনে নিন বিস্তারিত