Weather Update: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দিন কয়েক ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পর আগস্টের শেষে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমতেই বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের সবথেকে বেশি প্রভাব থাকছে মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে। সেখানেই এটি আরও শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী দু’দিনের মধ্যে এটি দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু নিম্নচাপের কারণে উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। সে কারণে মৎসজীবীদের জন্য থাকছে সতর্কবার্তা। রবিবার পর্যন্ত বাংলার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফে। পাশাপাশি ওড়িশার মৎস্যজীবীদের জন্যও সতর্কবার্তা থাকছে রবিবার পর্যন্ত। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার দেখা যেতে পারে সমুদ্রে।
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস সেই তালিকায় রয়েছে ১৫টি জেলা অর্থাৎ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া (Weather Update)।
তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে উপকূলবর্তী চার জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ দুই রাজ্যেই এর প্রভাব পড়বে। এই কথা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বাংলার উপকূল অঞ্চলেও তার প্রভাব পড়বে। দক্ষিণবঙ্গের ছয়টি জেলাকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ছয়টি জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে বলে খবর (Weather Update)।
শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম উত্তরবঙ্গেও। তবে আপাতত কলকাতাতে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। কিছু কিছু সময় আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মিলতে পারে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৬ থেকে ৯৮ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।