Durga Puja: ঢাকের তালে কোমর দুলবে আর কয়েকদিন পরেই। ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা জানান দেবে মা আসছে।। আগমনী গান শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন প্রান্তে। মহালয়া থেকেই দেবী পক্ষের সূচনা হতে চলেছে । তারপরেই শুরু হবে মাতৃ বন্দনা। পুজোর সময় আনন্দ বলতেই নতুন জামা এবং নানান রকম সাজ।
পূজোর পাঁচটা দিন ৫ রকম পোশাক আর তার সাথে মন ভরে সাজ এবং খাবার দাবার খাওয়া। তবে যার জন্য এই সাজুগুজু তার পূজোতে কোন রঙের পোশাক পরতে হয় জানেন। ষষ্ঠী থেকে দশমি কোন দিন কোন রঙের পোশাক পড়বেন। এই ৫ দিন ৫ রকম পোশাক পরলে তবেই পাওয়া যাবে দেবীর আশীর্বাদ। তাই নিয়ম মেনে পড়ুন পোশাক। শাড়ি হোক কিংবা সালোয়ার কামিজ যাই পড়ুন না কেন রংয়ের বিষয়টা রাখুন মাথায়।
ষষ্ঠীর বোধনের দিন দেবীকে কাত্যায়নী রূপে পূজা করা হয়। এই দিন অবশ্যই পড়ুন লাল রঙের পোশাক। এতে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সপ্তমীর দিন দেবীকে পুজো করা হয় কালরাত্রি রুপে এইদিন দেবী দুর্গার প্রিয় রং হয়ে ওঠে নীল। নীল রঙের যে কোন পোশাক পড়তে পারেন দেবীর কৃপা পেতে। অষ্টমীর দিন দেবীকে মহা গৌরীরূপে দেখা যায়। এই দিন অবশ্যই গোলাপী অথবা উজ্জ্বল রঙের পোশাক পড়ুন। এতে দেবী দুর্গা ভীষণ খুশি হন।
নবমীর দিন সিদ্ধি ধাত্রী রূপে পুজিত হন দেবী। এই দিন দেবীর সামনে পুজো দিতে গেলে অবশ্যই পড়ুন বেগুনি রংয়ের পোশাক। চতুর্থ দিন বেগুনি রংয়ের পোশাক পরলে ভাগ্যে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে পারে। দশমী অর্থাৎ শেষ দিন পরনে থাকুক সাদা ও লাল। এই দিন সিঁদুর খেলা থেকে মায়ের বরণের সময় দুই রঙের পোশাক পড়ুন। শাস্ত্র মতে এই দিন পান পাতায় দেবীর চোখের জল মোছার সময় মনে মনে কিছু চাইলে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়।
শুধু বাঙালিরা নয়, দুর্গাপূজার নবরাত্রি পালন করেন অবাঙালি সম্প্রদায়। নবরাত্রি্র দ্বিতীয় দিনে মা ব্রহ্মচারীণীর আরাধনা করার সময় সবুজ রং পড়ুন। তৃতীয় দিনে দেবী পূজিত হন চন্দ্রঘণ্টা। এই দিন বাদামি রঙের পোশাক পড়তে পারেন। চতুর্থ দিন কুশমন্ডার পূজো করা হয় এই দিন অবশ্যই করুন কমলা রঙের পোশাক। পঞ্চমীতে পুজিত হন স্কন্দমাতা তার প্রিয় রং সাদা। তাই পঞ্চমীর দিন সাদা পোশাক পড়তে ভুলবেন না। মনে রাখবেন এই তথ্যগুলি কেবল জ্যোতিষ নির্ভর। এগুলি বিশ্বাস করাতে কোনোভাবেই দায়বদ্ধ থাকবে না আমাদের সংবাদ মাধ্যম।