High Speed Rail Corridor: ভারতীয় রেল নিয়ে যেমন সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই তেমনি ভারতীয় রেল কিন্তু সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নানান রকম সুব্যবস্থা নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে যাতে রেল সম্পর্কে আর কোনো রকম খারাপ ধারণা তৈরি না হয় সাধারণ মানুষের তার জন্যই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে রেল সরকার।
রেলের কাজ আরো উন্নত করতে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ শুরু হচ্ছে। খুব শীঘ্রই নতুন সংস্করণ হতে চলেছে ভারতীয় রেলে। খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বুলেট ট্রেন। ৩২০ কিমি বেগে ছুটবে এই বুলেট ট্রেন। বারাণসী হাওড়া হাইস্পীড রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে বড় আপডেট দিল রেল কর্তৃপক্ষ (High Speed Rail Corridor)।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, হাইস্পীড এই রেল করিডোরের জন্য এলিভেটেড ট্র্যাক বানানো হবে। অর্থাৎ মাটির থেকে অনেকটা উপরে স্পেশাল পথ বানানো হবে এই ট্রেন চলাচলের জন্য। পাটনা এইমস ছাড়াও ১৩টি স্টেশন থাকবে এই যাত্রা পথে। ইতিমধ্যেই করিডোর তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহনের আগের সার্ভার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
জাহানাবাদ, গয়া, ভোজপুর ও বক্সের জেলায় সার্ভে করা হয়েছে। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড এই করিডোর তৈরী করবে। এর জন্য পাটনাতে বিপুল পরিমাণে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আগামী ২১শে অগাস্ট গ্রামের কৃষক, জেলা প্রশাসন ও রেল আধিকারিকদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ সোমবারেই এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন ও রেল আধিকারিকদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রায় ৩০ টি গ্রামের থেকে জমি নেওয়া হবে। এছাড়াও আরও যে জায়গা লাগবে সেটা কতটা কোথায় নেওয়া হবে আগামী ২১ আগস্টের বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাটনা স্টেশনের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি জায়গা বাছাই করা হয়েছিল। এর মধ্যে পাটনার এইমসের কাছে দানাপুর অঞ্চলের ভুশালা মৌজার ৪০ নং থানায় তৈরী করা হবে বলে খবর মিলেছে। স্টেশন তৈরির জন্য মোট ৩৭ একর জমির প্রয়োজন হবে।
যেটা এইমসের থেকে ৭৫০ দূরে পাটনা-গয়া-ডোবি সড়ক থেকে ১৫ কিমি দূরে থাকবে। করিডোর তৈরী হয়ে যাওয়ার পর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে এর সাথে যুক্ত করা হবে। বারাণসী থেকে গাজীপুর, বক্সার, পাটনা, জেহানাবাদ, গয়া, হয়ে ঝাড়খণ্ডের ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করবে একটি লাইন। এরপর সেটা পশ্চিমবঙ্গের গিরিডিহ, ধানবাদ, বর্ধমান, হুগলি হয়ে হাওড়া পর্যন্ত আসবে। অর্থাৎ হাওড়া থেকে বারাণসী যাওয়ার সময় আরও অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।