শুধু ৩২ হাজার নয়, নজরে আসছে এবার ৪২ হাজার প্রার্থী! কারা পড়তে চলেছে বিপাকে?

32000 Teacher Case: রাজ্যজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সাম্প্রতিক শুনানি ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলাকে কেন্দ্র করে। প্রশ্ন উঠেছে এই শুনানিতে ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী নেতৃত্বে। তবে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাও। শুনানির মূল বিষয়গুলি কী কী? অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ...

Updated on:

32000 Teacher Case

32000 Teacher Case: রাজ্যজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সাম্প্রতিক শুনানি ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলাকে কেন্দ্র করে। প্রশ্ন উঠেছে এই শুনানিতে ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী নেতৃত্বে। তবে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাও।

শুনানির মূল বিষয়গুলি কী কী?

অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া: তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ না করা নিয়ে। কোনও প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি, যদিও বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্যানেল দেওয়ালে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন আবেদনকারী। নিয়মাবলীতে প্যানেল প্রকাশ করার বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই হলেই উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।

সংরক্ষণ নীতি এবং কাট-অফ মার্কস: এসসি (SC) বিভাগের প্রার্থীদের অসংরক্ষিত বিভাগে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, যা কাট-অফ মার্কসকে প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ জানানো হয় আবেদনকারীর পক্ষ থেকে। তবে বিভাগ নির্দেশে বিবেচনা করা উচিত প্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী একথা জানায় আদালত।

প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্তি: তবে শুনানি একটা নতুন মোর নেয় যখন আদালত মন্তব্য করে যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা সেক্ষেত্রে ১২,০০০ প্রশিক্ষিত প্রার্থীকেও একইভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ৪২,৯৪৯টি চাকরিই বাতিল হয়ে যাওয়ার।

আদালতের উভয়সঙ্কট: তবে বিচারপতি স্বীকার করেছেন অত্যন্ত গুরুতর ৩২,০০০ পরিবারের চাকরি বাতিল করার বিষয়টি, বিশেষত যখন বহু শিক্ষক চাকরি করছেন সাত বছর ধরে এবং গ্র্যাচুইটি পাওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছেন।

দুর্নীতির অভিযোগ: আদালত আবেদনকারী কে দাখিল করতে বলেছে দুর্নীতির সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের যোগসূত্রের শক্তিশালী প্রমাণ। এর পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা হয় কীভাবে সরাসরি একজন অংশগ্রহণকারী যুক্ত হতে পারে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে।

প্যানেল প্রকাশ বিতর্ক: তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয় নির্বাচিত প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ না হওয়া নিয়ে। প্রকাশ করা হয়নি কোন প্যানেল দাবি আবেদনকারীর, যদিও সে ক্ষেত্রে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে দেওয়ালে প্যানেল টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি নিয়মাবলীতে প্যানেল প্রকাশ করার বিষয় নিয়ে এ কথা উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।

এই শুনানি শেষ হয়েছে সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নতুন করে করার সম্ভাবনা এবং প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত উভয় শিক্ষকের উপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে। তবে আদালত অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কল্যাণের কথা মাথায় রেখে।

অবশ্যই দেখবেন: রাশিয়ার তেল আমদানি করে ৩৯ মাসে ভারত কত হাজার কোটি টাকা বাঁচাল? জানলে চমকে উঠবেন!

Anamika Sen

দেশ-বিদেশের খবর, অর্থনীতি, জ্যোতিষ, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এবং টেকনোলজির জগৎ—এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
WhatsApp Icon