নিউ টাউনে AI হাব তৈরি, রাজ্যে ৫০০০ নতুন চাকরি! ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee: নিউ টাউন, কলকাতা—রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর বিকাশে আরও একটি মাইলফলক ছুঁল পশ্চিমবঙ্গ। হিডকোর দেওয়া জমির উপর তৈরি হলো আইটিসি লিমিটেড-এর বিশাল আইটি ও আইটিইএস ক্যাম্পাস, যা বাংলাকে ভারতের ডিজিটাল হাব হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যত অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই প্রকল্পকে ভবিষ্যতের ...

Published on:

Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: নিউ টাউন, কলকাতা—রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর বিকাশে আরও একটি মাইলফলক ছুঁল পশ্চিমবঙ্গ। হিডকোর দেওয়া জমির উপর তৈরি হলো আইটিসি লিমিটেড-এর বিশাল আইটি ও আইটিইএস ক্যাম্পাস, যা বাংলাকে ভারতের ডিজিটাল হাব হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যত অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই প্রকল্পকে ভবিষ্যতের জন্য ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র’ বলে বর্ণনা করেছেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

১৮ একর জমিতে গড়ে উঠেছে আইটিসি-র গগনচুম্বী প্রযুক্তি ক্যাম্পাস

নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ৩-এ হিডকোর (HIDCO) বরাদ্দ দেওয়া ১৮ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে আইটিসি লিমিটেড-এর তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের নকশা, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পরিকাঠামোগত শক্তি একে বাংলার অন্যতম বৃহৎ কর্পোরেট প্রযুক্তি হাব-এ পরিণত করেছে। এখানে রয়েছে তিনটি আলাদা ভবন:

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now
  • একটি গগনচুম্বী অফিস টাওয়ার
  • একটি বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার
  • একটি নলেজ সেন্টার (Knowledge Hub)

এই ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নলেজ-ভিত্তিক অর্থনীতির রূপরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

১২০০ কোটির লগ্নি, ৫০০০ জনের কর্মসংস্থান

মুখ্যমন্ত্রী এক্স (পুরনো টুইটার) হ্যান্ডলে এই উদ্যোগের বিশদ বিবরণ দিয়ে জানান, এই আইটি ক্যাম্পাসে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে। শুধু পরিকাঠামো নয়, এর সাথে যুক্ত হচ্ছে বিশাল মানবসম্পদ উন্নয়নের সুযোগ

কর্মসংস্থান:

  • সরাসরি ৫০০০ পেশাদার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে
  • তথ্যপ্রযুক্তি, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (BPO), আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ
  • স্থানীয় প্রতিভা বিকাশেরও এক দুর্দান্ত মঞ্চ তৈরি হবে এই হাবের মাধ্যমে

এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দিক থেকে নয়, সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রেও এক মহৎ পদক্ষেপ

প্রথম এআই সেন্টার অফ এক্সেলেন্স: বাংলায় এআই-এর যাত্রা শুরু

এই ক্যাম্পাসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল—গ্লোবাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI Hub)

মুখ্যমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। এই সেন্টার রাজ্যের:

  • এআই গবেষণা ও উদ্ভাবন
  • উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ সম্প্রসারণ
  • তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার
  • উন্নত প্রযুক্তি ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি

—এই সব দিককে সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের গন্তব্য হতে চলেছে বাংলা

এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন রাজ্যের ইনভেস্টমেন্ট ইমেজে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “বাংলার জন্য এটি একটি মাইলফলক। কাজ শুরু হলে এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগে বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠবে।”

এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, এই উদ্যোগ কেবল এককভাবে আইটিসির প্রকল্প নয়—এটি বাংলার বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিং-এর অংশ

আইটি শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা

পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই একাধিক আইটি পার্ক ও স্টার্টআপ ইনকিউবেটর হাব তৈরি করেছে। নিচে রাজ্যের আইটি সেক্টরের সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরা হলো:

সূচকপরিসংখ্যান (২০২৫)
মোট আইটি কর্মী৩.২ লক্ষ+
বার্ষিক আইটি রপ্তানি₹২৯,০০০ কোটি+
স্টার্টআপ সংখ্যা৮,০০০+
রাজ্যে আইটি পার্ক২০+

আইটিসি-র ক্যাম্পাস এই সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে নলেজ ইন্ডাস্ট্রিকগনিটিভ টেকনোলজির ক্ষেত্রে।

নিউটাউন: পরবর্তী ডিজিটাল স্মার্ট সিটি

আইটিসি তাদের প্রকল্পটি যে নিউ টাউনে গড়েছে, তার পেছনে গভীর ভাবনা রয়েছে। নিউ টাউন ইতিমধ্যেই:

  • স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধীনে
  • ডিজিটাল কনেক্টিভিটি হাব
  • রিয়েল-টাইম ট্রাফিক মনিটরিং
  • পরিবেশ-বান্ধব টাউনশিপ

এই প্রকল্প নিউ টাউনকে আইটি-ডিজিটাল করিডোরে রূপান্তরিত করছে। NKDA ইতিমধ্যেই জমির অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট (OC) প্রদান করেছে।

অবশ্যই দেখবেন: বৃষ্টি দিয়ে মাসের শুরু! দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় অ্যালার্ট জারি, জানুন কোথায় কতটা বৃষ্টি হবে

এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব

অর্থনৈতিক উন্নয়ন
তরুণদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি
স্থানীয় স্টার্টআপদের সহায়তা
বৈদেশিক বিনিয়োগের দরজা খোলা
তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা
পরোক্ষভাবে আবাসন, পরিষেবা খাতে চাঙ্গা ভাব

FAQs (প্রশ্নোত্তর):

১. আইটিসি-র নিউ টাউন প্রকল্পে কত বিনিয়োগ হয়েছে?

প্রায় ১২০০ কোটি টাকা।

২. এই প্রকল্পে কত কর্মসংস্থান হবে?

সরাসরি ৫০০০ পেশাদার কর্মসংস্থান হবে বলে জানানো হয়েছে।

৩. এই ক্যাম্পাসে কী কী ভবন রয়েছে?

একটি গগনচুম্বী অফিস টাওয়ার, বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার ও নলেজ সেন্টার।

৪. এটি পশ্চিমবঙ্গে প্রথম এআই হাব কি?

হ্যাঁ, এই ক্যাম্পাসে রাজ্যের প্রথম AI Center of Excellence তৈরি হচ্ছে।

৫. এই প্রকল্পের ফলে পশ্চিমবঙ্গ কীভাবে উপকৃত হবে?

বিনিয়োগ, চাকরি, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং রাজ্যের ডিজিটাল ইমেজ গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

অবশ্যই দেখবেন: তৎকাল টিকিট কাটতে এবার চাই এই ডকুমেন্ট! এসি ও স্লিপারে বাড়ল ভাড়া, দেখুন প্রতি স্ল্যাবে কত