Mamata Banerjee: বিধানসভা ভোট পশ্চিমবঙ্গে নির্ধারিত সময় মতো হলেও তা এখনও বাকি প্রায় সাত মাস। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই ভোটের হাওয়া বইতে। তৃণমূলের আসন বাড়বে, বিধানসভা ভোটে প্রকাশেই ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অর্থাৎ তৃণমূল ২০২১ সালে যে সংখ্যক আসন পেয়েছিল তার থেকে বেশি আসন পাবে তারা।তবে তৃণমূলের কেউ মনে করতে পারছেন না যে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর আগে কখনও এই আসন বৃদ্ধির কথা বলেছেন কিনা। তিনি সাধারণত মন্তব্য করেন জিততে হবে এই ধরনের। তবে তিনি কখনো ভবিষ্যৎ বাণী করেন না আসন সংখ্যা নিয়ে।
বলা যেতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভবিষ্যৎবাণী করে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি ২০১৯ সালের চেয়ে একটি হলেও বেশি আসন পাবে তৃণমূল, গত লোকসভার ভোটের আগেই একথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে তার অনেক বেশি বাস্তবে পেয়েছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে বলেন বিধানসভা ভোটে আসন বৃদ্ধির কথা। তবে তিনি এও দাবি করেন ৫০ টপকাতে পারবেনা বিজেপি।
তৃণমূল কংগ্রেস এক ইঞ্চি জমি বিনা যুদ্ধে ছাড়েনি আর ছাড়বেও না ওই কর্মসূচিতে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন। মানুষের আশীর্বাদে, জয় জোহারে এবং দোয়ায় দল তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরো আসুন বাড়বে আগামী নির্বাচনে। এর কারণ ‘আমরা মানুষের উন্নয়ন করি, আরও করব’ এই বলে মমতা নিজের বক্তব্য রাখেন। প্রধানত তিনটি কারণে এই ধরনের কথা বলে থাকেন রাজনৈতিক নেতারা। প্রথমত জনমানসে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস তুলে ধরার জন্য। দ্বিতীয়ত নেতাদের ওপর ভাল ফলাফলের জন্য চাপ তৈরি করা তাছাড়া দলের কর্ম বাহিনীর মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস জারিত করার জন্য। তৃতীয় এবং শেষ হল আঘাত করা বিরোধীদের মনোবলে।
তৃণমূলের বিধানসভা ভোটের আসন সংখ্যা
২১৩টি আসুন জিতেছিল তৃণমূল ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে। তবে ২৯২টি আসনে ভোট হয়েছিল,মুর্শিদাবাদের দু’টি আসনে ভোট স্থগিত ছিল প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে । কিন্তু পরে তৃণমূলই ওই দুটি আসন জিতেছিল। আসুন বেড়ে হয় ২১৫। প্রথমে বিজেপি আসন জিতেছিল ৭৭ টি কিন্তু পরে তা কমে গিয়ে হয় ৭৫ টি। জগন্নাথ সরকার এবং পদ্মশিবিরের নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ পথ রেখে দিয়ে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন। ঘাসফুল জয় পায় দুটি উপনির্বাচনেই। এর কারণে ২১৭ আসন হয় তৃণমূলের। এরপরে তৃণমূল উপ নির্বাচনে যেতে বিজেপির হাতে থাকা ধুপগুড়ি এবং মাদারিহাট আসনেও। ফলে আসন সংখ্যা হয় ২১৯ । এই পর্বে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ছিলেন বিজেপি ৮ জন বিধায়ক। তবে অবশ্যই জানান ২০২১ সালের ভোটে জেতা হিসেবে ধরেছে ২১৫ আসনকেই।
কিসের জোরে আসন বৃদ্ধির কথা বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?
তবে মমতা (Mamata Banerjee) আসন বৃদ্ধির কথা প্রকাশেই ঘোষণা করলেন কিসের ভিত্তিতে, তৃণমূলের তরফ থেকে এর কোন আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। সরকারি পরিষেবা মমতার আত্মবিশ্বাস বা আসন বৃদ্ধির ঘোষণার দৃঢ়তার অন্যতম কারণ বলে জানান দলের প্রথম সারির একাধিক নেতা। তবে তৃণমূলের কাছে এটি খুব স্পষ্ট যে রাজ্যে এমন কোন বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে রাজ্য সরকারের কোন সুবিধাভোগী নেই। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করেন আরও সঙ্গত হয়েছে মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের যে সমর্থন এত দিন ধরে মমতা পুঁজিতে পরিণত করেছেন।
শাসকদলের নেতারা এই প্রসঙ্গেই সংগঠনের জরের কথা বলেন। তাঁদের বক্তব্য ভোট হয় বুথে, তৃণমূল এখনও অপ্রতিরোধ্য সেই বুধ স্তরের সংগঠনে । তবে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে বিজেপি-সহ বিরোধীদের সংগঠনের দৈন্য প্রকট। এটা ঠিক যে রাজ্যে বিজেপি মেরুকরণের পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে । কিন্তু এখনও সেটা পৌঁছাতে পারেনি সরকারি পরিষেবা তৃণমূলের সংগঠনকে ছাপিয়ে যাওয়ার, এই বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা।
অবশ্যই দেখবেন: আম্বানিদের গণেশপুজোয় রণবীরের উদ্দাম নাচে নজর কাড়লেন! দীপিকার বর এবার কাকে জড়িয়ে ধরলেন?