Mahila Rojgar Yojana: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবার মহিলাদের জন্য একটি বড় ঘোষণা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মতোই বিহারে চালু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা (Mahila Rojgar Yojana)। এই প্রকল্পের লক্ষ্য মহিলাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে তোলা এবং তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ভোটের আগে ঘোষিত হলেও এটি নিছক ভাতা প্রকল্প নয়, বরং মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে।
মহিলা রোজগার যোজনার মূল উদ্দেশ্য
আজকের দিনে শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, স্বনির্ভর হওয়াই সবচেয়ে জরুরি। তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা প্রথমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন, যা দিয়ে তাঁরা নিজেদের জীবিকা শুরু করতে পারবেন। সরকার চাইছে মহিলারা যেন শুধু সাহায্যপ্রাপ্ত না হয়ে নিজেরাই ব্যবসা বা কাজ শুরু করেন। দীর্ঘমেয়াদে এই প্রকল্প তাঁদের আয় ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
কত টাকা মিলবে এই প্রকল্পে?
প্রথম ধাপে প্রত্যেক আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০,০০০ টাকা জমা হবে। এরপর দেখা হবে, ওই টাকায় তিনি ব্যবসা বা জীবিকা গড়ে তুলতে পারছেন কিনা। সফল হলে ধাপে ধাপে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে একজন মহিলা সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য পেতে পারেন।
ধাপ | সহায়তার পরিমাণ |
---|---|
প্রথম ধাপ | ₹10,000 |
মাঝের ধাপগুলো | ব্যবসার অগ্রগতির উপর নির্ভরশীল |
সর্বোচ্চ সীমা | ₹2,00,000 পর্যন্ত |
মহিলা রোজগার যোজনার জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই প্রকল্পের আওতায় আসতে গেলে কিছু শর্ত মানতে হবে। আবেদনকারীকে অবিবাহিত হতে হবে এবং বাবা-মা জীবিত থাকলে এই প্রকল্পে সুযোগ পাওয়া যাবে না। মহিলা অবশ্যই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে। বয়সসীমা রাখা হয়েছে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এছাড়া আর্থিকভাবে দরিদ্র সীমার নিচে থাকা মহিলারাই আবেদন করতে পারবেন।
কোন কোন কাজে টাকা ব্যবহার করা যাবে?
বিহার সরকার ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য জীবিকার একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকার যেকোনও একটি কাজ বেছে নিয়ে মহিলারা অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফল-সবজির দোকান খোলা, বিউটি পার্লার চালানো, দুধ বা জুসের দোকান খোলা, মোবাইল রিচার্জ সেন্টার, গবাদি পশু পালন, ই-রিক্সা চালানো, বা দর্জির দোকান খোলা ইত্যাদি। সরকার চাইছে মহিলারা যেন নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিয়ে আয় শুরু করেন।
আবেদন করার পদ্ধতি
এই প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া গ্রাম ও শহরে আলাদা রাখা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা সরাসরি পঞ্চায়েত অফিস বা গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরে গিয়ে অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। শহরাঞ্চলের মহিলাদের জন্য খুব শিগগিরই একটি অনলাইন পোর্টাল চালু হবে। আবেদন করার সময় আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ঠিকানার তথ্য জমা দিতে হবে। সব তথ্য যাচাই হয়ে গেলে অর্থ সরাসরি আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
মহিলা রোজগার যোজনার গুরুত্ব
এই প্রকল্প কেবলমাত্র ভাতা প্রকল্প নয়। বরং এর মাধ্যমে মহিলাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ। বাড়ির মহিলারা যদি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে শুধু তাঁরাই উপকৃত হবেন না, বরং পরিবার ও সমাজও লাভবান হবে। বিহারে গ্রামীণ ও শহুরে মহিলাদের মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। এই পরিস্থিতিতে মহিলা রোজগার যোজনা (Mahila Rojgar Yojana) তাঁদের জন্য বড় সহায়ক হতে পারে।
একটি সাধারণ উদাহরণ
ধরা যাক, গ্রামের এক মহিলা এই প্রকল্পে আবেদন করে ১০,০০০ টাকা পেলেন। তিনি সেই টাকা দিয়ে সবজির দোকান শুরু করলেন। কয়েক মাসের মধ্যে দোকান চালু হয়ে গেল এবং আয় শুরু হলো। সরকার তাঁর সাফল্য দেখে আরও সাহায্য করল। ধাপে ধাপে ব্যবসা বড় হতে হতে শেষে হয়তো তিনি ২ লক্ষ টাকার সহায়তা পেলেন। এর ফলে তিনি শুধু নিজের পায়ে দাঁড়ালেন না, বরং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলেন।
অবশ্যই দেখবেন: New Aadhaar Card Rule: এবার আধার কার্ডে নয়া নিয়ম! আপনার জন্য বাধ্যতামূলক কি বদল আনল সরকার?
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ
সরকার চাইছে মহিলাদের স্বনির্ভরতার মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হোক। দীর্ঘমেয়াদে এই প্রকল্প যদি সঠিকভাবে কার্যকর হয়, তবে বহু মহিলা নতুন করে আয়ের রাস্তা খুঁজে পাবেন। একইসঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিও লাভবান হবে।
অবশ্যই দেখবেন: PNB New FD Scheme: ২ লক্ষ টাকায় মিলবে ₹২.৭৬ লক্ষ! ঝুঁকিমুক্ত দুর্দান্ত স্কিম আনল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক
সব মিলিয়ে বলা যায়, মহিলা রোজগার যোজনা (Mahila Rojgar Yojana) বিহারের মহিলাদের জন্য এক নতুন দিশা। এই প্রকল্প তাঁদের হাতে শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, বরং জীবিকা গড়ার পথও খুলে দিচ্ছে। যাঁরা এতদিন আর্থিকভাবে পিছিয়ে ছিলেন, তাঁরাও এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাবেন।
অবশ্যই দেখবেন: iPhone 17 Series: Apple আজ আনছে iPhone 17 Series—দাম জেনে চোখ কপালে উঠবে!
Disclaimer
এই আর্টিকেলে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞাতার্থে লেখা হয়েছে। সরকার সময়ে সময়ে প্রকল্পের নিয়ম ও শর্তে পরিবর্তন আনতে পারে। তাই আবেদন করার আগে সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা দপ্তর থেকে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করে নিন।
অবশ্যই দেখবেন: DA Hike News: অবশেষে সুখবর! সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩% বৃদ্ধি, কবে অ্যাকাউন্টে আসবে টাকা?