E10 Bullet Train: দেশের পরিবহন ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হলো ভারতীয় রেল (Indian Railways)। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেয় এই রেল পরিষেবা। সাধারণ মানুষের জীবনে রেল একপ্রকার লাইফ লাইন হিসেবে বিবেচিত হয়। যত সময় অতিবাহিত হয়েছে ততই রেল ব্যবস্থায় আমল পরিবর্তন আনা হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফে। ইতিমধ্যে যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে উন্নত পরিষেবা দিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ও সেমি হাই স্পিড ট্রেন উপহার দিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়াও কম দূরত্বের হাইস্পিড ট্রেন সার্ভিস নমো ভারত চালু করা হয়েছে। এবার যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা বাহুল্য, রেল পরিষেবায় নয়া রেকর্ড গড়তে চলেছে ভারত সরকার। জানা যাচ্ছে, ২০৩০ সালে জাপানের সঙ্গেই পরবর্তী প্রজন্মের হাইস্পিড বুলেট ট্রেন চালু হবে ভারতে।
২০৩০ সালে ৪০০ কিমি বেগে ছুটবে হাইস্পিড বুলেট ট্রেন (E10 Bullet Train):
এতদিন পর্যন্ত জাপান থেকে E5 মডেলের বুলেট ট্রেন (E5 Bullet Train) বা শিনকানশেন মডেল ভারতে আমদানির কথা ছিল। তবে এবার E5 মডেলের পরিবর্তে আরও উন্নত ভ্যারিয়েন্ট E10 আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে ব্যাপক প্রযুক্তির উন্নতি হবে। শুধু তাই নয় E5 বুলেট যেখানে সর্বোচ্চ ৩২০ কিমি/ঘন্টা গতিবেগে যেতে সক্ষম ছিল সেখানে E10 ৪০০ কিমি/ঘন্টা গতিবেগ তুলতে সক্ষম হবে বলে জানা গিয়েছে।
জাপান ও ভারতে একসঙ্গে চালু হবে হাইস্পিড বুলেট ট্রেন (E10 Bullet Train):
জাপানের তরফে জানানো হয়েছে যে, নিজেদের দেশের সঙ্গে ভারতেও তারা E10 হাইস্পিড বুলেট (E10 Highspeed Bullet Train) ট্রেনের যাত্রা শুরু করতে চায়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২টি E10 বুলেট ট্রেন পাঠানো হবে ভারতে। এই ঘটনা একদিকে যেমন রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরী করবে তেমনি দুই দেশের মধ্যের সম্পর্ককে নতুন মাত্রা এনে দেবে।
Read More: আজ থেকে শুরু দুর্যোগ! ১২ জেলায় অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা, জেনে নিন সপ্তাহভর আবহাওয়ার পূর্বাভাস
ইতিমধ্যে ভারতে তৈরি হচ্ছে হাইস্পিড ট্রেন (E10 Bullet Train)
E10 বুলেট ট্রেন ইমপোর্টের পাশাপাশি স্বদেশীভাবেও হাইস্পিড ট্রেন তৈরির কাজ চলছে ভারতে। ইতিমধ্যে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি ও ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দুটি সেমি-হাইস্পিড ট্রেন তৈরী করা হয়েছে যার জন্য খরচ বরাদ্দ হয়েছে ৮৬৭ কোটি টাক। আশা করা যায়, ২০২৬ সালের মধ্যেই এই ট্রেন তৈরী হয়ে যাবে। এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন তৈরী হওয়ার পর রেলওয়ে ট্র্যাকে সর্বোচ্চ ২৮০ কিমি বেগে দৌড়াতে সক্ষম হবে বা ২৪৯ কিমি / ঘন্টার গতিবেগে চলাচল করবে।মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার সময় আরও কমিয়ে আনতে হাইস্পিড রেল করিডোর তৈরির কাজ চলছে। জাপান ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় এই প্রজেক্ট করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতকে ৫০ বছরের একটি লোন দেওয়া হয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির তরফে। হাইস্পিড রেল করিডোর তৈরির জন্য ৮০% খরচ আসবে এই লোন থেকেই। এই লোনের জন্য মাত্র ০.১% সুদ প্রদান করতে হবে ভারতকে।
আরও পড়ুন: TRAI New Rules: মাত্র ২০ টাকাতেই সিম থাকবে সক্রিয়! নয়া নিয়ম TRAI-এর