Indian Railway: বাংলা নববর্ষে রেলের চমক! ইতিহাস গড়তে চলেছে বাঁকুড়া-হাওড়া ট্রেন পরিষেবা

Indian Railway: বাংলা নববর্ষে রেল পরিষেবার নতুন অধ্যায় রচিত হতে চলেছে। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া, মসাগ্রাম হয়ে সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনায় খুশির হাওয়া দুই জেলার মানুষের মধ্যে। বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার হয়তো বাস্তব রূপ নিতে চলেছে স্বপ্নের রেল যোগাযোগ। WhatsApp Group Join Now Telegram Group Join Now  ‘বড় দুঃখের ...

Published on:

Indian Railway

Indian Railway: বাংলা নববর্ষে রেল পরিষেবার নতুন অধ্যায় রচিত হতে চলেছে। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া, মসাগ্রাম হয়ে সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনায় খুশির হাওয়া দুই জেলার মানুষের মধ্যে। বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার হয়তো বাস্তব রূপ নিতে চলেছে স্বপ্নের রেল যোগাযোগ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

 ‘বড় দুঃখের রেল’ – এই তকমা ঘোচাতে আসছে আশার আলো

বাঁকুড়া-দক্ষিণ দামোদর উপত্যকার মানুষ বহু বছর ধরেই কলকাতায় পৌঁছানোর জন্য একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। যদিও পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগ স্থাপন অনেক আগে সম্পন্ন হয়, তবুও ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় মানুষকে এখনও ভোগ করতে হচ্ছে অসুবিধা। বি.ডি.আর রেলপথ তাই এখনো ‘বড় দুঃখের রেল’-এর তকমা বহন করে চলেছে। এবার সেই দুঃখ মোচনে আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলা নববর্ষে বাঁকুড়া-হাওড়া সরাসরি ট্রেন পরিষেবা

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

 বাঁকুড়া দামোদর রেলপথ: ঐতিহাসিক এক যাত্রা (Indian Railway)

বি.ডি.আর (Bankura Damodar Railway) ভারতের অন্যতম প্রাচীন রেলপথ। ১৯১৬ সালে বাঁকুড়া থেকে রায়না পর্যন্ত চালু হওয়া এই ন্যারো গেজ রেলপথ একসময় বাঁকুড়া ও বর্ধমানের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে এটি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনে আসে। তবে লোকসানের কারণে ১৯৯৫ সালে এই রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুনর্জন্ম

তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বিডিআর পুনরুজ্জীবিত করার কাজ শুরু হয়। পুরানো ন্যারো গেজ লাইনের পরিবর্তে ব্রড গেজ লাইনের নির্মাণ শুরু হয় ২০০৫ সালে। প্রথমে বাঁকুড়া-সোনামুখী, এরপর সোনামুখী-রায়নগর এবং শেষে রায়নগর থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত রেল সংযোগ সম্পূর্ণ হয়। দামোদরের উপর নির্মিত নতুন রেল সেতু এই পথকে আরও সুগম করে তোলে।

 বৈদ্যুতীকরণ ও মেমু ট্রেন পরিষেবা

২০২০ সালের মধ্যে বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের বৈদ্যুতীকরণ সম্পূর্ণ হয়। এরপর ২০২১ সালে চালু হয় মেমু ট্রেন পরিষেবা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মসাগ্রাম জংশনে সাউথ ইস্টার্ন রেলের বিডিআর লাইনকে সংযুক্ত করা হয় ইস্টার্ন রেলের হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সঙ্গে।

 এখন হাওড়া পৌঁছানো শুধুই সময়ের অপেক্ষা

বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার। সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলা নববর্ষেই বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম রুটে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। এই রুটে নতুন ইন্টারসিটি ট্রেন চালুর সম্ভাবনাও উজ্জ্বল, যা যাত্রীদের যাত্রা আরও আরামদায়ক ও সময়সাশ্রয়ী করে তুলবে।

সৌমিত্র খাঁ-এর দাবি ও রেলমন্ত্রীর চিঠি

বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বহুদিন ধরেই এই রুটে ট্রেন পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি তিনি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-এর কাছ থেকে অনুমোদনের চিঠি পেয়েছেন এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশও করেছেন। সেইসঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে সম্ভাব্য টাইম টেবিল, যা নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Dearness Allowance: DA বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের, এপ্রিলের বেতনেই মিলবে তিন মাসের বকেয়া