Special Intensive Revision: আধার কার্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় রায়! নির্বাচন কমিশনকে চমকে দিল নির্দেশ

Special Intensive Revision: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। নির্বাচন কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া, যেখানে পুরনো তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ঘিরেই দেখা দিয়েছিল একাধিক জটিলতা। কারও নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, আবার কোথাও ...

Updated on:

Special Intensive Revision

Special Intensive Revision: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। নির্বাচন কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া, যেখানে পুরনো তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ঘিরেই দেখা দিয়েছিল একাধিক জটিলতা। কারও নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, আবার কোথাও মৃত বা স্থানান্তরিত মানুষের নাম থেকেও যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিল কমিশনকে—এবার থেকে আধার কার্ডও প্রামাণ্য নথি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

কেন এত আলোচনা ভোটার তালিকা নিয়ে?

ভোটার তালিকা হলো গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। একটি সঠিক ও স্বচ্ছ তালিকা থাকলেই ভোট দেওয়ার অধিকার সঠিকভাবে কার্যকর হয়। কিন্তু বিহারে দেখা যাচ্ছিল ভিন্ন ছবি। অনেক জীবিত মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, অথচ মৃত বা অন্যত্র চলে যাওয়া মানুষদের নাম তালিকায় থেকে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। এই অবস্থায় আদালতের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ে।

স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) আসলে কী?

স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) হলো ভোটার তালিকা হালনাগাদের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া। সাধারণ সময়ে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন করে, কিন্তু বড় নির্বাচনের আগে বা বিশেষ পরিস্থিতিতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে এটি করা হয়।
এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়—

  • নতুন ভোটারের নাম তালিকায় তোলা
  • মৃত বা স্থানান্তরিত মানুষের নাম বাদ দেওয়া
  • ভুল বানান বা তথ্য সংশোধন করা
    এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকাকে যতটা সম্ভব নির্ভুল ও পরিষ্কার রাখা যায়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী বলছে?

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে সোমবার এই মামলার শুনানি হয়। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধনের সময় আধার কার্ডকেও প্রামাণ্য নথি হিসাবে গণ্য করতে হবে। এর আগে কমিশনের তালিকায় ১১টি নথি ছিল, যেমন—পাসপোর্ট, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। এবার আধার কার্ডকে যুক্ত করা হলো ১২তম নথি হিসাবে। ফলে যাঁরা আগে শুধুমাত্র আধার কার্ড নিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন, তাঁদের জন্য এখন অনেকটাই সুবিধা হবে।

আধার কার্ড নিয়ে আদালতের ব্যাখ্যা

তবে সুপ্রিম কোর্ট একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে। আধার কার্ড ব্যবহার করা যাবে প্রমাণ হিসাবে, অর্থাৎ কারও পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আধারকে কখনও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ধরা যাবে না। অর্থাৎ কেউ যদি নাগরিকত্বের নথি হিসেবে আধার দাখিল করেন, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আদালত বলেছে, পরিচয় আর নাগরিকত্ব—এই দুই আলাদা বিষয়। আধার শুধু পরিচয়ের প্রমাণ, নাগরিকত্বের নয়।

কেন জরুরি ছিল আধারকে যুক্ত করা?

গ্রামাঞ্চল হোক বা শহর, এখন অধিকাংশ মানুষের কাছেই আধার কার্ড রয়েছে। অনেকের কাছে হয়তো পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, কিন্তু আধার কার্ড প্রায় সবার কাছেই আছে। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র আধার থাকলে ভোটার তালিকায় নাম সংশোধনের আবেদন করা যেত না। এখন থেকে তা সম্ভব হবে। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ এবং মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে।

বিহারে ভোটার তালিকার জটিলতা

গত কয়েক মাসে বিহারে ভোটার তালিকা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষের নাম হঠাৎ তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, তাঁরা আবেদন করেও নিজেদের নাম ফেরাতে পারেননি। আবার অন্যদিকে বহু মৃত মানুষ বা অন্যত্র চলে যাওয়া মানুষের নাম তালিকায় রয়ে গেছে। এই দ্বন্দ্ব নিয়ে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বাড়ছিল। ঠিক তখনই আদালতের নির্দেশ অনেকটা স্বস্তি এনে দিল।

ভোটারদের সুবিধা কী হবে?

এবার থেকে ভোটার তালিকায় নাম যোগ করা, সংশোধন করা বা ঠিকানা পরিবর্তনের কাজ আরও সহজ হবে। আধার কার্ডকে বৈধ নথি হিসাবে মান্যতা দেওয়ায় সাধারণ মানুষকে আর একাধিক কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াতে হবে না। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের মানুষরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। এছাড়া কমিশনের কাজও কিছুটা সহজ হবে, কারণ আধার একটি বহুল ব্যবহৃত এবং প্রচলিত পরিচয়পত্র।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা

এখন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা কমিশনের অন্যতম দায়িত্ব। কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে যে, স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়ায় আধার কার্ড যথাযথভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তালিকার গুণগত মান যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম সরানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাব

অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন নির্ধারিত। তার আগে ভোটার তালিকা নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা সব পক্ষের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভোটার তালিকা যদি ভুলভ্রান্তি পূর্ণ হয়, তবে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই আদালতের এই পদক্ষেপ শুধু আইনি দিক থেকেই নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অবশ্যই দেখবেন: GST Reduction On AC: GST রেট কমতেই ধাক্কা! এয়ার কন্ডিশনারে নামল কয়েক হাজার টাকার দাম

মানুষের প্রত্যাশা

সাধারণ মানুষ আশা করছেন, এবার আর আগের মতো নাম বাদ পড়া বা ভুল নথি সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হবে না। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হলে ভোটার তালিকা হবে আরও স্বচ্ছ, এবং মানুষ নিজেদের অধিকার সহজে প্রয়োগ করতে পারবেন।

অবশ্যই দেখবেন: Blood Moon 2025: রাত ১১.৪৮-এ শিখরে রক্ত চাঁদ! আপনার শহরে কি দেখা যাবে?

শেষ কথা

বিহারের ভোটার তালিকা ঘিরে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই প্রশমিত হবে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে। আধার কার্ডকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে গ্রহণ করার ফলে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এখন শুধু দেখার, নির্বাচন কমিশন কীভাবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।

অবশ্যই দেখবেন: NBSTC: সরকারি বাসেই সরাসরি সিকিম! পুজোয় NBSTC-র স্পেশাল সার্ভিস, ভাড়া জেনে নিন এখনই

Disclaimer

এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যগুলি বিভিন্ন রিপোর্ট এবং আদালতের প্রকাশিত নির্দেশনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সাধারণ পাঠকদের তথ্য প্রদান করা। কোনও আইনি বা সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাকেই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

অবশ্যই দেখবেন: LPG Price Update: উৎসবের আগেই স্বস্তির খবর! ফের কমল রান্নার গ্যাসের দাম, আজ কত লাগবে জানেন?

Anamika Sen

দেশ-বিদেশের খবর, অর্থনীতি, জ্যোতিষ, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এবং টেকনোলজির জগৎ—এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
WhatsApp Icon