ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ (Aikyashree Scholarship) : বাংলার হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এখনও প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে বড় কিছু হওয়ার, কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতা সে স্বপ্নকে আটকে দেয়। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পক্ষে কলেজ, স্কুলের খরচ চালানো যেন একপ্রকার যুদ্ধ। বই, ইউনিফর্ম, পরীক্ষার ফি—সব কিছুই যেন একটা পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের সামনে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সরকারি সাহায্য আছে—কিন্তু তথ্যের অভাবে তা পৌঁছায় না আসল দরিদ্র পরিবারগুলোর কাছে। সমাজের এক শ্রেণির মানুষ আজও জানেন না, রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কীরকম সুযোগ করে রেখেছে, যেটা শুধুমাত্র একটা আবেদনেই ভবিষ্যতের দিশা বদলে দিতে পারে।
‘ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ’ (Aikyashree Scholarship): সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম (WBMDFC) পরিচালিত ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ প্রকল্প (Aikyashree Scholarship Scheme) হলো এক অনন্য পদক্ষেপ, যা মূলত মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে রাজ্যের প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়া হলেই হবে না, আবেদনকারীর বার্ষিক পারিবারিক আয় নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে—গ্রামীণ এলাকার জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা এবং শহরের জন্য ১ লক্ষ টাকা।
কারা আবেদন করতে পারবে ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে? (Eligibility Criteria of Aikyashree Scholarship)
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ পেতে গেলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা থাকতে হবে—প্রথমত, আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। দ্বিতীয়ত, সে অবশ্যই কোনও স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে। তৃতীয়ত, তার সাম্প্রতিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর থাকতে হবে। এছাড়া, ছাত্রছাত্রীরা যেকোনও স্তরের জন্য আবেদন করতে পারবে—প্রি-ম্যানাটেনেন্স (Class 1–10), পোস্ট-ম্যাট্রিক (Class 11–PhD) এবং মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ।
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে কিভাবে আবেদন করবেন? জানুন পুরো প্রক্রিয়াটি একবারে (Online Application Process of Aikyashree Scholarship)
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক। পড়ুয়াদের https://wbmdfcscholarship.in ওয়েবসাইটে গিয়ে “Student Registration” অপশনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময় ছাত্রের নাম, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস, আধার নম্বর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি দিতে হবে। সফলভাবে আবেদন করার পর ছাত্রছাত্রীদের একটি আবেদন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে স্কলারশিপ স্ট্যাটাস ট্র্যাক করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই স্কলারশিপের জন্য কোনও আবেদন ফি দিতে হয় না।
Read More: Sukanya Samriddhi Yojana: জমানো টাকা হবে ৩ গুণ! মাত্র ২১ বছরেই কন্যা হবে কোটিপতি
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |