১৯৭৪ সালের পর এত ভয়ংকর ঝড় আসেনি! ৪০ লক্ষ মানুষের প্রাণ সংকটে, উঠবে ৪০ ফুট ঢেউ! বন্ধ সব কিছু, আতঙ্কে গোটা দেশ!

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখনও বলে আসে না, তবে তার পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও আতঙ্ক কাটে না। দিনের আলো ম্লান হয়ে এসেছে, আকাশ কালো করে এসেছে বিশাল ঝড়ের মেঘ। বাতাসে অদ্ভুত একটা গন্ধ, যেন বিপদের আগাম বার্তা দিচ্ছে। স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কিত, কারণ এমন পরিস্থিতি আগে খুব কমই দেখা গেছে। ইতিহাস সাক্ষী, একবার এমন ...

Updated on:

১৯৭৪ সালের পর এত ভয়ংকর ঝড় আসেনি! ৪০ লক্ষ মানুষের প্রাণ সংকটে, উঠবে ৪০ ফুট ঢেউ! বন্ধ সব কিছু, আতঙ্কে গোটা দেশ!

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখনও বলে আসে না, তবে তার পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও আতঙ্ক কাটে না। দিনের আলো ম্লান হয়ে এসেছে, আকাশ কালো করে এসেছে বিশাল ঝড়ের মেঘ। বাতাসে অদ্ভুত একটা গন্ধ, যেন বিপদের আগাম বার্তা দিচ্ছে। স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কিত, কারণ এমন পরিস্থিতি আগে খুব কমই দেখা গেছে। ইতিহাস সাক্ষী, একবার এমন ঝড় এসেছিল, যা সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল। এবার সেই স্মৃতি নতুন করে ফিরে আসছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভয়ংকর শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে ঝড়

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, এটি হয়তো সাধারণ ঝড়ের মতোই হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর শক্তি বাড়ছে। আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে এবং এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, যদি এটি উপকূলে আছড়ে পড়ে, তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি অনিবার্য। মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে, খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করছে। কিন্তু প্রকৃতির সামনে মানুষের শক্তি যে কতটা নগণ্য, তা আরও একবার প্রমাণ হতে চলেছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এখনও পর্যন্ত বিপদের মূল কেন্দ্র চিহ্নিত হয়নি

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, কোথায় এই ঝড় সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে, তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে উপকূলীয় শহর ও গ্রামগুলির ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, বাতাসের গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ছে। মানুষজন আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে প্রশাসন জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড়

এই বিধ্বংসী ঝড়টি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে ধেয়ে আসছে। ১৯৭৪ সালে এই অঞ্চলে ‘সাইক্লোন জো’ যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, সেই স্মৃতি এখনও মানুষের মনে তাজা। এবারকার ঘূর্ণিঝড় তার থেকেও ভয়ংকর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কুইন্সল্যান্ডের ৬৬০টি স্কুল ও নিউ সাউথ ওয়েলসের ২৮০টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোর শুধু ইমার্জেন্সি বিভাগ চালু রাখা হয়েছে, গণপরিবহন প্রায় বন্ধ।

৪০ লক্ষ মানুষের জীবন বিপদের মুখে

আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঝড়ের তীব্রতা যদি আরও বাড়ে, তাহলে উপকূলীয় অঞ্চলের ৪০ লক্ষ মানুষের জীবন সংকটের মুখে পড়বে। এর মধ্যে অন্তত ২০ হাজার বাড়ি বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি, প্রবল ঝড়ো হাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৪০ ফুট পর্যন্ত উঁচু ঢেউ উঠতে পারে। ফলে মাছ ধরার নৌকাগুলি দ্রুত ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানেজ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন এবং দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন। Local Train: টানা ১৬ দিন বন্ধ একাধিক ব্যান্ডেল লোকাল! নিত্যযাত্রীদের চরম ভোগান্তির আশঙ্কা !!