টোটোর দিন কি শেষ? রাজ্য সরকারের বড় সিদ্ধান্তে কাঁপছে টোটোচালক মহল

কোথায় যাবেন না টোটো পাওয়া যাবে! আজকাল রাজ্যের প্রতিটি শহর, মফস্বল, এমনকি গ্রামের অলিতেগলিতেও টোটো (Toto) হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সহজলভ্য যানবাহন। স্কুলে যাওয়া, বাজারে যাওয়া বা অফিসে পৌঁছনোর জন্য অধিকাংশ মানুষই টোটোর উপর ভরসা রাখেন। কারণ কম খরচ, সহজলভ্যতা এবং একাধিক যাত্রী পরিবহণের সুবিধা। কিন্তু এই বাড়তি সুবিধার আড়ালেই তৈরি ...

Updated on:

Toto

কোথায় যাবেন না টোটো পাওয়া যাবে! আজকাল রাজ্যের প্রতিটি শহর, মফস্বল, এমনকি গ্রামের অলিতেগলিতেও টোটো (Toto) হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সহজলভ্য যানবাহন। স্কুলে যাওয়া, বাজারে যাওয়া বা অফিসে পৌঁছনোর জন্য অধিকাংশ মানুষই টোটোর উপর ভরসা রাখেন। কারণ কম খরচ, সহজলভ্যতা এবং একাধিক যাত্রী পরিবহণের সুবিধা। কিন্তু এই বাড়তি সুবিধার আড়ালেই তৈরি হচ্ছে নতুন সমস্যার পাহাড়। রাস্তায় যানজট, দুর্ঘটনার প্রবণতা বৃদ্ধি, আর সবচেয়ে বড় বিষয় – একের পর এক টোটো বেআইনিভাবে চলাফেরা করছে, যার কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই, মালিক চালকের কোনও নথি নেই, নেই আইন মেনে চলার চিহ্নমাত্র।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন: টোটো কি আদৌ নিরাপদ? | Toto safety concerns

বেশ কিছুদিন ধরে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও প্রশ্ন – প্রতিদিন যেই টোটোতে চড়ছেন, সেটি কি আদৌ নিরাপদ? কে চালাচ্ছেন তা কি যাচাই হয়েছে? দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কার? অদক্ষ চালকদের দৌলতে দুর্ঘটনার পরিমাণ যেমন বাড়ছে, তেমনই বেআইনিভাবে ভাড়া তুলে নিচ্ছেন অনেকে, যাদের কোনও লাইসেন্সই নেই। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি একাধিক টোটো কিনে ভাড়ায় চালাচ্ছেন, আর প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এই অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশের জেরে যানবাহন ও মানুষের নিরাপত্তা দুটোই আজ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

অবশ্যই দেখবেন: কোক, পেপসির দিন কি শেষ? ৮০০০ কোটি বিনিয়োগে বাজার কাঁপাতে নামছে Campa!

অবৈধ টোটো নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন পদক্ষেপ 

রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন – আর নয় অনিয়ন্ত্রিত টোটোর দৌরাত্ম্য। এবার থেকে প্রতিটি টোটোর জন্য কিউআর কোড (QR Code) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই কোডে থাকবে টোটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর (Registration Number), মালিকের নাম, চালকের লাইসেন্স (License), গাড়ির অনুমোদনসহ সবকিছু। এই কিউআর কোড না থাকলে সেই টোটো আর রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। ইতিমধ্যে কল্যাণী, বর্ধমান এবং কোচবিহার এলাকায় এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের মতে, এই কিউআর কোড যুক্ত টোটো চলাচল শুরু হলে সাধারণ মানুষ যেমন নিরাপদ থাকবেন, তেমনই বেআইনি ব্যবসাও বন্ধ হবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

অবশ্যই দেখবেন: শনিদেবের কৃপায় ভাগ্য খুলবে এই ৩ রাশির! আজকের রাশিফল, ২১ জুন

ডিজিটাল সংযুক্তিকরণ ও জরিমানার প্রস্তুতি 

পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি কিউআর কোড আরটিও (RTO) অফিসের সঙ্গে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত থাকবে। ফলে কোনও টোটো যদি নিয়ম ভঙ্গ করে, বা কোনও দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই প্রশাসন সেই চালকের সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে জরিমানা (Penalty), লাইসেন্স বাতিল (License cancellation), এমনকি টোটো বাজেয়াপ্ত (Vehicle Seize) করার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এখন সময় এসেছে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে দায়িত্ব নিয়ে চালাতে হবে। কেউ চাইলে আর বেআইনিভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।”

অবশ্যই দেখবেন: আজই রিচার্জ করলে পুরো ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত ফ্রি! জিও-র নতুন প্ল্যানে হইচই

রাজ্যজুড়ে চলবে কড়া নজরদারি ও QR কোড স্টিকার বিতরণ 

পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি জেলা শহর, মহকুমা ও ব্লকে এই কিউআর কোড স্টিকার (QR Code Sticker) ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হবে। আর যারা এই কোড সংগ্রহ না করে টোটো চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এই পদক্ষেপের ফলে শুধু বেআইনি টোটোর দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে না, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তাও অনেকাংশে সুনিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রশাসনের মতে, এটাই ভবিষ্যতের দিশা – যেখানে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন, নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল ও জনসুরক্ষা একসঙ্গে এগিয়ে চলবে।