বিয়ে পর্ব মিটতেই হানিমুনে দিলীপ ঘোষ! কোথায় যাচ্ছেন জানলে চোখ কপালে উঠবে

আনামিকা সেন, কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম জনপ্রিয় ও বিতর্কিত মুখ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) অবশেষে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন। রীতি মেনে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে (Rinku Majumdar) বিয়ে করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

বৈশাখী সন্ধ্যায় শুভ পরিণয় | Happy marriage on Baisakhi evening Of Dilip Ghosh & Rinku Majumdar

গতকাল শুক্রবার, বৈশাখী সন্ধ্যায় দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে সম্পন্ন হয়। কোনো আড়ম্বর নয়, ছিল না মিডিয়ার ভিড়—বরং একান্ত ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সাদা পাঞ্জাবি ও ধুতি পরে, মাথায় টোপর ও গলায় রজনীগন্ধার মালা পরে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন। আর নববধূ রিঙ্কু লাল বেনারসীতে শোভিত হয়ে সম্পূর্ণ বাঙালি সাজে দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠেন।

কেমন ছিল তাঁদের পরিচয়ের গল্প? What was the story of their acquaintance like?

৫১ বছর বয়সী রিঙ্কু মজুমদার দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। অতীতে তিনি দলের ওবিসি ফ্রন্ট ও হ্যান্ডলুম সেলে কাজ করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় রিঙ্কু কর্মসূত্রেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে পরিচিত হন। তবে সেই পরিচয় ছিল নিছক পেশাগত।

মর্নিং ওয়াক থেকেই প্রেমের শুরু?

বলা হয়, দিলীপ ঘোষের প্রতিদিনের মর্নিং ওয়াক খুবই জনপ্রিয়। ২০২১ সালে এমন এক সকালে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রিঙ্কুর নতুন করে আলাপ হয়। সেই আলাপ ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে এবং অবশেষে প্রেমে রূপ নেয়।

মায়ের ইচ্ছেতে বিয়ের সিদ্ধান্ত!

প্রথমদিকে বিয়েতে রাজি ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। কিন্তু রিঙ্কু মজুমদার নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মায়ের ইচ্ছাতেই শেষমেশ বিয়েতে রাজি হন দিলীপ। রিঙ্কু জানান, “দিলীপদার রাফ অ্যান্ড টাফ ইমেজটাই আমার সবসময় ভালো লাগত। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম।” অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মা চেয়েছিল, তাই বিয়েটা করেই ফেললাম।”

হানিমুন কোথায় যাচ্ছেন দিলীপ-রিঙ্কু?

নববিবাহিত দম্পতির হানিমুন নিয়ে সকলেরই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন—

“৪০-৪২ বছর ধরে তো পার্টির কাজে ঘুরেই কাটালাম। কিন্তু বিয়ের পর একটু সময় তো দিতেই হবে। কোথাও একবার তো যাওয়া চাই, এটা নিয়মের মধ্যে পড়ে।”

রিঙ্কু মজুমদার জানান, “এই গরমে আমরা হিল স্টেশনেই যেতে চাই। তাই সিমলা আমাদের প্রথম পছন্দ। আর নাহলে গোয়া। এই দুই জায়গা নিয়ে ভাবছি আপাতত।”

বিয়ের পরই জন্মদিন!

এক চমকপ্রদ বিষয় হলো, দিলীপ ঘোষের বিয়ের পরদিনই ছিল তাঁর জন্মদিন। শনিবার সকালেই নিউ টাউনের রাস্তায় দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে তাঁর প্রাতর্ভ্রমণের রুটিনে। সঙ্গীরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তবে বাঙালি রীতিমতো নববধূ রিঙ্কু এদিন বাড়িতেই থাকেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন?

বিয়ের পরেও দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনও বিরতি নেই। বিয়ের পরদিনই দমদমে একটি রাজনৈতিক সভায় অংশ নেন তিনি। নিজেই জানান, “বিয়ে একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু দলের কাজ থেমে থাকতে পারে না।”

দিলীপ-রিঙ্কু বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া

এই হাই-প্রোফাইল বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন ব্যক্তিগত জীবন হঠাৎ এত গোপনে কেন রাখা হলো।

কেন এত গোপনীয়তা?

দিলীপ ঘোষ বা রিঙ্কু কেউই মিডিয়া কিংবা দলের পক্ষ থেকে বিয়ের আগাম ঘোষণা দেননি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই বিয়ে নিয়ে যাতে অহেতুক আলোচনা না হয়, সেই কারণেই এমন অনাড়ম্বরতা।

দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে প্রমাণ করল—জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে কোনও নির্দিষ্ট বয়সের প্রয়োজন হয় না। রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের এমন মুহূর্তও সমান গুরুত্বের। আগামী দিনে এই নবদম্পতির দাম্পত্য জীবন যেমন সুখের হোক, তেমনি রাজনৈতিক ময়দানেও তাঁদের সাফল্য কামনা করছে বঙ্গবাসী।আপনার পাঠকদের জন্য আরও খবর পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্টে জানান, দিলীপ ঘোষের এই নতুন ইনিংস নিয়ে আপনার মতামত কী? প্রতিদিন সকালে দৈনিক আপডেট পেতে অবশ্যই গুগল করুন-Tollywood Online

অবশ্যই দেখবেন: ‘আইবুড়ো’ তকমার ইতি! বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দিলীপ ঘোষ! পাত্রীর পরিচয়ে চমক