‘জয় বাংলা’ রোগে জেরবার শহর! কীভাবে ছড়ায়, কীভাবে সারে? জেনে নিন বিশদে

বর্ষাকাল মানেই নানান রোগের উপদ্রপ। আর সেই সব রোগ অনেক সময় ছোঁয়াচে হয়ে যায়। এই সময় বাতাসে ঘুরে বেড়ায় নানান রকমের ব্যাকটেরিয়া। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে এখন ছড়িয়ে পড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো একাধিক চোখের রোগ। বর্ষাকালে কেন কনজাঙ্কটিভাইটিসের মতো রোগ বেশি হয়? রোগটি হলে কী করণীয়? এই নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা ...

Updated on:

Conjunctivitis

বর্ষাকাল মানেই নানান রোগের উপদ্রপ। আর সেই সব রোগ অনেক সময় ছোঁয়াচে হয়ে যায়। এই সময় বাতাসে ঘুরে বেড়ায় নানান রকমের ব্যাকটেরিয়া। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে এখন ছড়িয়ে পড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো একাধিক চোখের রোগ। বর্ষাকালে কেন কনজাঙ্কটিভাইটিসের মতো রোগ বেশি হয়? রোগটি হলে কী করণীয়? এই নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা করলেন চিকিৎসক সোহম বসাক (কর্নিয়া বিভাগের কনসালটেন্ট, দিশা আই হসপিটালস)।

শহরে বাড়ছে রোগীর হার

চিকিৎসক সোহমের কথায়, ‘বর্ষাকাল মানেই কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) বৃদ্ধি। এটি পিঙ্ক আই, আই ফ্লু বা জয় বাংলা নামেও পরিচিত। বেশি আর্দ্রতা রয়েছে এমন স্থান এবং ভেজা জিনিসে (দরজার নব, লিফটের বোতাম, রেলিং ইত্যাদি) ভাইরাস সহজে বেঁচে থাকে অনেকক্ষণ। এইসব স্থান একাধিক ব্যক্তি স্পর্শ করলে এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস।’ শহরে চোখের এই সমস্যা যে বেড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে রোগীর সংখ্যায়। সোহমের কথায়, ‘শহর জুড়ে আমাদের ক্লিনিকগুলিতে প্রতিদিন প্রায় ৬০-৭০ জন কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) রোগী আসার প্রবণতা বেড়েছে।’

Conjunctivitis
Conjunctivitis

কেন বর্ষায় কনজাঙ্কটিভাইটিস?

এই রোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল অ্যাডেনোভাইরাস। অন্যান্য ভাইরাস যেমন এন্টারোভাইরাস বা রোটাভাইরাসও পিঙ্ক আই ঘটাতে পারে। আবার কখনও কখনও ঠান্ডা, জ্বর, গলা ব্যথা এবং পিঙ্ক আইয়ের মতো বেশ কিছু লক্ষণ একসঙ্গে ফুটে ওঠে। এই রোগটি আবার ফ্যারিঙ্গো-কনজাঙ্কটিভাল ফিভার নামেও পরিচিত। কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) আরেকটি বড় কারণ হল মাইক্রোস্পোরিডিয়া। অণুবীক্ষণিক পরজীবীগুলির একটি গোষ্ঠী নোংরা বা কাদামাটির জলের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমণ ছড়ায়।

কীভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব?

১.যতটা সম্ভব চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যেখানে আপনার হাত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে।

২.যদি পিঙ্ক আই/কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়, তবে চোখের সংস্পর্শে আসা জিনিসপত্র যেমন নিজের তোয়ালে, বালিশ, রুমাল ইত্যাদি অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না। আর অন্য কারওরটা ব্যবহার করাও ঠিক নয় এই সময়।

৩.এই সংক্রমণের সময়কাল হলো ৫-৭ দিন। এই সময়ের মধ্যে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময়ে কিছুদিন আলাদা থাকো ভালো।

কীভাবে সারবে কনজাঙ্কটিভাইটিস?

চিকিৎসক সোহম বসাকের কথায়, ‘অধিকাংশ ভাইরাল সংক্রমণ নিজে থেকেই সেরে যায়। চোখ থেকে জল পড়া, চোখ জ্বালা কমানোর জন্য চোখের ড্রপ এবং মলম দেওয়া হয়। চোখের পাতা বা কর্নিয়ার অনেকটা ফুলে গেলে তার জন্যও ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়াও, এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো এই ব্যাপারে।’

অবশ্যই দেখবেন: ‘বাংলায় ফিরলে কত টাকা দেবেন?’ পরিযায়ী শ্রমিকের সোজাসাপ্টা প্রশ্নে হতবাক মমতা, ভাইরাল ভিডিও!

Anamika Sen

দেশ-বিদেশের খবর, অর্থনীতি, জ্যোতিষ, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এবং টেকনোলজির জগৎ—এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
WhatsApp Icon