নিজের নামে একাধিক ভোটার কার্ড? এখনই বাড়িতে বসে মুছে ফেলুন, না হলে হতে পারে জেল!

ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজেকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি অবশ্যই থাকা উচিত। এর মধ্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড (Voter Card), প্যান কার্ড এবং রেশন কার্ড অন্যতম। এসব নথি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ভোটদানের অধিকার ভোগ করতে চাইলে নিজের ভোটার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। ...

Updated on:

Voter Card

ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজেকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি অবশ্যই থাকা উচিত। এর মধ্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড (Voter Card), প্যান কার্ড এবং রেশন কার্ড অন্যতম। এসব নথি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ভোটদানের অধিকার ভোগ করতে চাইলে নিজের ভোটার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ভোটার কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়, যা ঠিকঠাক পূরণ করাই জরুরি।

Voter Card
Voter Card

আপনার যদি একাধিক ভোটার কার্ড থাকে, তাহলে হতে পারে বড় বিপদ — সতর্ক থাকুন এখনই!

একজন নাগরিকের নামে একাধিক ভোটার কার্ড থাকাটা শুধু অনুচিতই নয়, বরং আইনত দণ্ডনীয়। ১৮ বছরের বেশি হলেই যে কেউ ভোটার কার্ডের (Voter Card) জন্য আবেদন করতে পারেন, কিন্তু নিয়ম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়—প্রত্যেক নাগরিকের নামে শুধুমাত্র একটি বৈধ ভোটার কার্ডই থাকা উচিত। যদি কারও কাছে একাধিক ভোটার কার্ড থেকে থাকে, তা হলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, যার জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই—আপনি চাইলে অতিরিক্ত বা ভুল কার্ড খুব সহজেই বাড়িতে বসেই বাতিল করে দিতে পারেন। তাই এখনই সতর্ক হন এবং নিজের ভোটার (Voter Card) তথ্য ঠিকঠাক আছে কিনা তা যাচাই করে নিন।

নিশ্চিন্তে বাড়িতে বসেই কীভাবে বাতিল করবেন — জানুন সহজ উপায়!

অতিরিক্ত বা ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড (Voter Card) বাতিল করতে এখন আর অফিসে যাওয়ার ঝামেলা নেই—এই কাজটি আপনি সহজেই বাড়িতে বসেই করতে পারেন। তার জন্য প্রথমে যেতে হবে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে: https://voters.eci.gov.in। সেখানে মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যদি আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সরাসরি লগইন করতে পারেন। এরপর হোমপেজে থাকা ‘ফর্ম’ বিভাগে গিয়ে ‘ফর্ম ৭’ নির্বাচন করুন। তারপর নিজের নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি নম্বর, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিন এবং সাবমিট করুন। কয়েকটি সহজ ধাপে আপনি বাড়িতে বসেই অপ্রয়োজনীয় ভোটার কার্ড বাতিল করে নিতে পারবেন।

Voter Card
Voter Card

কত সময় লাগবে এই প্রক্রিয়ায়?

ভোটার কার্ড (Voter Card) বাতিলের আবেদন করতে গিয়ে আপনাকে জানাতে হবে, ঠিক কী কারণে আপনি এটি বাতিল করতে চাইছেন। যদি আপনার একাধিক কার্ড থাকে বা ডাবল রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে, তাহলে সেই অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর বাতিল করতে চাওয়া অতিরিক্ত ভোটার কার্ডের একটি স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে ফর্ম সাবমিট করলে, সঙ্গে সঙ্গেই আপনি একটি রেফারেন্স নম্বর পেয়ে যাবেন—এই নম্বর দিয়েই আপনি অনলাইনে আপনার আবেদনটির অগ্রগতি (Status) পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি—যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রতিনিধি আপনার বাড়িতে আসতে পারেন। তাই সব তথ্য একেবারে ঠিকঠাক এবং সত্য থাকতে হবে।

পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো—একজন নাগরিকের নামে একাধিক ভোটার কার্ড থাকা সম্পূর্ণ বেআইনি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, একজনের জন্য শুধুমাত্র একটি বৈধ ভোটার কার্ডই বরাদ্দ। অন্যথায়, একাধিক ভোটার কার্ড থাকলে আপনি নির্বাচনী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন, এমনকি আইনত বিপদেও পড়তে হতে পারে।

অবশ্যই দেখবেন: গণপতি বাপ্পার কৃপায় সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরবে ৪ রাশি! আজকের রাশিফল দেখে নিন

WhatsApp Icon