Train Ticket: উৎসবের মরশুম চলছে। এই সময়ে, বাড়ির বাইরে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট বুক করেন। তবে, বর্তমানে একটি কনফার্ম টিকিট পাওয়া সহজ কাজ নয়। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেন, বাস বা বিমানের টিকিট বুক করেন। এই কারণেই একটি কনফার্ম টিকিট পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এর জন্য, মানুষকে অনেক কিছুর বিশেষ যত্ন নিতে হয়।
একটি তৎকাল টিকিটও একটি কনফার্ম টিকিট (Train Ticket) পাওয়ার একটি সহজ উপায়। তবে, তৎকাল টিকিট দিয়েও আপনি যে কনফার্ম টিকিট পাবেন তার কোনও গ্যারান্টি নেই। আজ, আমরা আপনাকে এখানে এমন পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যার সাহায্যে আপনি সহজেই একটি কনফার্ম টিকিট পেতে সক্ষম হবেন। আসুন, একটি কনফার্ম ট্রেন টিকিট পেতে কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক।
অনেকেরই ধারণা ট্রেনের টিকিট (Train Ticket ১০০ শতাংশ টিকিট বুকিং হয়ে যাওয়ার পরেই ওয়েটিং লিস্ট শুরু হয়। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways) মোট আসনের প্রায় ৫০ শতাংশ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত রাখে এবং বাকি ৫০ শতাংশ সাধারণ যাত্রীদের জন্য উপলব্ধ থাকে। এই কোটাগুলোর মধ্যে রয়েছে লেডিস কোটা, সিনিয়র সিটিজেন কোটা, এবং দিব্যাঙ্গজন (Person With Disability) কোটা।
কীভাবে বুঝবেন আপনার টিকিট কনফার্ম হবে?
বিভিন্ন কোটায় আসন পরীক্ষা করুন: আপনার টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, তা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিভিন্ন কোটায় খালি থাকা আসনের সংখ্যা পরীক্ষা করা। এর জন্য IRCTC ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
লেডিস কোটা (Ladies Quota): এই কোটা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক হাওড়া থেকে রামপুরহাট যাওয়ার জন্য সারাইঘাট এক্সপ্রেসে জেনারেল কোটায় ২২ ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে, কিন্তু লেডিস কোটায় একটি আসন খালি আছে।
লোয়ার বার্থ সিনিয়র সিটিজেন কোটা (Lower Berth Senior Citizen Quota): এই কোটা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৮ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা থাকে। একই ট্রেনে, একই তারিখে হয়তো এই কোটায় ৭টি আসন খালি থাকতে পারে।
দিব্যাঙ্গজন কোটা (Person With Disability): এই কোটা বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় এই কোটায় ২টি আসন খালি থাকে।
কখন টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
যদি বিভিন্ন কোটায় খালি থাকা মোট সিটের সংখ্যা আপনার ওয়েটিং লিস্ট নম্বরের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আপনার টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। কারণ, ট্রেন ছাড়ার কিছু সময় আগেই কোটার অবিক্রিত আসনগুলো সাধারণ ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীদের জন্য বেশিরভাগ সময়ই ছেড়ে দেওয়া হয়।
কখন টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা কম?
যেকোনো উৎসব যেমন দুর্গাপূজার সময় পুরী যাওয়ার ট্রেনে বা অন্য কোনো বড় উৎসবের সময় জনপ্রিয় ট্রেন রুটগুলিতে টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। অধিক চাহিদাসম্পন্ন রুট: চিকিৎসার জন্য যশবন্তপুর বা সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার ট্রেনেও টিকিটের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। এই সময়গুলিতে কোটার আসনগুলোও দ্রুত ভরে যায়, তাই ওয়েটিং লিস্ট ক্লিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
অবশ্যই দেখবেন: বাংলাদেশে ইলিশ ২৬০০ টাকা কেজি! কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দাম কম, জানুন কারণ
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |