India US Tariff: ট্রাম্পের ৫০% শুল্কে দিশেহারা মার্কিন আমদানিকারকরা! ভারতের বদলে কোন দেশ ভরাতে পারে ঘাটতি?

India US Tariff: আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে ভারতীয় পণ্যে। মনে করা হচ্ছে এটা রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি। তবে আমেরিকার আমদানিকারকেরা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে। ফলে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই চড়া শুল্কের (India US Tariff) জন্য। এবার যদি ভারত ...

Updated on:

India US Tariff

India US Tariff: আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে ভারতীয় পণ্যে। মনে করা হচ্ছে এটা রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি। তবে আমেরিকার আমদানিকারকেরা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে। ফলে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই চড়া শুল্কের (India US Tariff) জন্য। এবার যদি ভারত বিকল্পের সন্ধান করে তবে মার খাবে আমেরিকার বাণিজ্য।

শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব

ট্রাম্প প্রথমে জানান ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভারতের উপরে। কিন্তু পরে তিনি বলেন ভারতকে জরিমানা দিতে হবে রাশিয়ার কাছ থেকে লাগাতার তেল কেনার কারণে। ভারতের পণ্যের উপরে আরো ২৫ শতাংশ আরোপ করা হয় শাস্তি হিসেবে। এর ফলে মোট ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্কের (India US Tariff) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে। বাতিল হচ্ছে বহু পণ্যের বরাত এর পাশাপাশি শুল্কের কারণে ধাক্কা খাচ্ছে বাণিজ্য।

ভারতের সঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক সম্পর্কের যে অগ্রগতি হচ্ছিল তা ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে ট্রাম্পের পদক্ষেপে, নিউ ইয়র্ক টাইম্‌সের প্রতিবেদন অনুযায়ী। এছাড়াও চতুর্থ বৃহত্তম শেয়ার বাজার হল ভারতের শেয়ার বাজার। এখানে বিনিয়োগ রয়েছে কয়েকশো কোটি ডলারের বিদেশি। সেই বিনিয়োগের স্থিতিশীলতাকেও ধাক্কা দিয়েছে ট্রাম্পের শুল্ক।

শাস্তির জন্য ভারতই কেন?

ট্রাম্প ঘোষনা করেন চিনের সঙ্গে আপাতত শুল্ক-যুদ্ধে (India US Tariff) সংঘর্ষবিরতি। চীন সবচেয়ে বড় ক্রেতা রাশিয়ার তেলের। কিন্তু তাদের উপরে বাদ দিয়ে শুল্ক আরোপ করেননি আমেরিকা। তবে কেন শুধুমাত্র শাস্তির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতকেই? এ কথা জানতে চাইলে বেশ অদ্ভুত যুক্তি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। চীন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার তেল পরিশোধন করে বিক্রি করে এ কথা জানান মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। ফলে যদি চীনের উপর যদি শুল্ক আরোপ করা হয় এর প্রভাব পড়বে ইউরোপের বাজারে। মূলত এই জন্যই শুল্ক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে চীনকে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাশিয়ায় গিয়ে অদ্ভুত বলে উল্লেখ করেছেন এই যুক্তিকে।

ফ্রান্স অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে ছিলেন আমেরিকান পণ্যে ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে। ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্কের পরিমাণ কোন কোন ক্ষেত্রে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুল্কের রাজা বলেও উল্লেখ করেন ভারতকে। তবে এই মুহূর্তে ভারত এবং ব্রাজিল এই দুটি দেশের উপর শুল্কের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি আমেরিকার।

ভারতের বিকল্প হতে চলেছে কোন কোন দেশ?

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমেরিকার বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হবেন চড়া শুল্কের (India US Tariff) পর এ কথা মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সেখানে চীন প্রধান বিকল্প হতে পারে।ভারতকে বাণিজ্যের আহ্বান জানিয়েছে বেজিঙের তরফ থেকেও। এর পাশাপাশি বিকল্প হয়ে উঠতে পারে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ, নয়া দিল্লির কাছে রাশিয়া এবং জাপান। ৫০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে আমেরিকান পণ্য রপ্তানি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু এর ফলে আদতে ক্ষতি হবে মার্কিন আমদানিকারকদের। দুই দেশের মধ্যে সাড়ে সতের কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছিল গত বছরেই।

ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী যে পরিমাণ ছাড় তিনি চেয়েছিলেন ভারতে কৃষি জাতীয় পণ্যের বাজারে তা দেওয়া হয়নি তাকে। এই কারণে প্রথম থেকেই বাণিজ্য আলোচনার গতি ছিল ধীর নয়াদিল্লির সঙ্গে। ভারত এর পরিবর্তে আমেরিকা থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছিল।আমেরিকা থেকে জ্বালানি পণ্যের আমদানি পরিমান গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি ছিল। তবে ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসে এর পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ডলার। ট্রাম্প এতে খুশি হবে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। যদিও এতে কোন লাভ হয়নি।

অবশ্যই দেখবেন: Vande Bharat: ট্রেন ছাড়ার মাত্র ১৫ মিনিট আগে মিলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কনফার্মড টিকিট! জেনে নিন বুকিং টিপস

Anamika Sen

দেশ-বিদেশের খবর, অর্থনীতি, জ্যোতিষ, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এবং টেকনোলজির জগৎ—এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
WhatsApp Icon