ভারতে টিকটক (TikTok) ফিরবে কি না, তা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। কারণ, দীর্ঘ চার বছর পর ভারত থেকে খোলা গিয়েছে চিনা-মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম TikTok-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। যদিও এখনও পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে TikTok অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হঠাৎ করেই ওয়েবসাইট চালু হয়ে যাওয়া প্রশ্ন তুলেছে—ভারতীয় বাজারে কি তবে আবারও টিকটক রিলঞ্চ হতে চলেছে?
কেন এত আলোচনা?
২০২০ সালে ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে একযোগে ৫৮টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। সেই তালিকায় ছিল TikTok-ও। তৎকালীন সময়ে ভারতে অন্তত ২০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিলেন এই শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের। নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেক ব্যবহারকারী মজ (Moj), জোশ (Josh), চিঙ্গারি (Chingari), রোপোসো (Roposo)-র মতো দেশীয় বিকল্প অ্যাপে চলে গেলেও, টিকটকের জনপ্রিয়তা আজও অটুট।
টিকটকের ওয়েবসাইট খোলার পর পরিস্থিতি
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বহু নাগরিক জানিয়েছেন যে, তাঁদের ডেস্কটপ ও ল্যাপটপে TikTok ওয়েবসাইট খোলা যাচ্ছে। তবে আবার অনেক ব্যবহারকারী বলেছেন, ওয়েবসাইট তাঁদের কাছে খোলা যাচ্ছে না। এই বৈপরীত্য আরও বেশি জল্পনা বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্ল্যাটফর্মটি হয়তো ভারতীয় সার্ভারে পুনরায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে।
চিন–ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি চিন এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন করে গতি এসেছে। বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক সঙ্কেত মিলছে। ফলে অনেকের মতে, সেই সম্পর্কের উন্নতির হাত ধরেই টিকটকের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ আবারও ভারতে প্রবেশ করতে পারে।
সরকারি অবস্থান
এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার টিকটক রিলঞ্চ নিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা করেনি। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফেও এ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ওয়েবসাইট খোলা যাওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে একটি বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
টিকটক ফিরলে প্রভাব
- ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সুযোগ: হাজার হাজার ভারতীয় ক্রিয়েটর আবারও তাঁদের শর্ট ভিডিও কনটেন্ট টিকটকে প্রকাশ করতে পারবেন।
- দেশীয় অ্যাপগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ: Moj, Josh, Chingari, Roposo-এর মতো প্ল্যাটফর্ম আবারও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে।
- অর্থনৈতিক দিক: TikTok ফিরলে বিজ্ঞাপন বাজারে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আবারও কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ আসতে পারে।
ভারতে টিকটক ফেরার সম্ভাবনা ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। ওয়েবসাইট চালু হওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে সরকারি অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়। যদি সত্যিই TikTok আবারও ভারতে ফিরে আসে, তবে তা হবে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে এক বিশাল পরিবর্তন।
অবশ্যই দেখবেন: অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫ পাশ হতেই গুগলে ট্রেন্ডিং Zupee Ludo! কী জানাল বিশেষজ্ঞরা?