টাকার দাম এখন আকাশছোঁয়া। সংসার চালানো তো দূরের কথা, বাড়তি খরচও মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন বহু মানুষ। এর মধ্যেই যখন সরকার পক্ষ থেকে কিছুটা আর্থিক সহায়তা (Financial Assistance)-র কথা শোনা যায়, তখন নতুন করে আশার আলো দেখেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই আশাও যখন এক ধাক্কায় ভেঙে পড়ে, তখন স্বাভাবিকভাবেই হতাশা গ্রাস করে সকলকে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের এক ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়ে বেকার, তাঁদের মধ্যে এই বিতর্ক ঘিরে উদ্বেগ প্রবল। কারা এই ভাতা (Allowance for SSC Group C & D Staff) পাবেন, কারা পাবেন না— সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের মনে।
হঠাৎ করে নতুন মোড় নিল ভাতা বিতর্ক | Allowance for SSC Group C & D Staff Case In High Court
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য সরকারের ঘোষণার পর গ্রুপ C ও D-এর বহু প্রাক্তন কর্মীর মুখে হাসি ফুটেছিল। ভেবেছিলেন অন্তত মাসিক ভাতা (Monthly Allowance) টুকু হাতে পেলে পরিবার চালানো কিছুটা হলেও সহজ হবে। কিন্তু এবার সেই আশাতেই জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্টের এক পর্যবেক্ষণ। গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। পরে অবশ্য শিক্ষকদের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলে এবং তাঁদের বেতনও দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু গ্রুপ C ও D কর্মীদের (Allowance for SSC Group C & D Staff) ক্ষেত্রে কোনও রকম ছাড় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এঁদের জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম (West Bengal Livelihood and Social Security Interim Scheme)-এর আওতায় ভাতা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে আদালতের দরজায় | Chief Minister’s Allowance Announcement in Court
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল— গ্রুপ C কর্মীদের ২৫ হাজার এবং গ্রুপ D কর্মীদের ২০ হাজার টাকা করে ভাতা (Allowance for SSC Group C & D Staff) দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আদালতের শরণাপন্ন হন একাংশ চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য— যদি ভাতা দেওয়াই হয়, তাহলে সব চাকরিপ্রার্থী এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদেরও সেই সুবিধা দিতে হবে। শুধু চাকরি হারানো ব্যক্তিদের কেন এই বিশেষ সুবিধা? এই দাবিকে সামনে রেখেই কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে মামলা। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই সিদ্ধান্তকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর বক্তব্য, “গ্রুপ C ও D কর্মীদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট কোনও ছাড় দেয়নি। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ একপ্রকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করার সামিল।”
অবশ্যই দেখবেন: বিদ্যুতের মোটা বিল দেখে টেনশনে? মাত্র ৪টি কৌশলেই বিল হবে অর্ধেক!
রাজ্যকে প্রশ্নবাণ | State Under Question on Allowance Decision
এদিন আদালতে রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া সুরে প্রশ্ন তোলা হয়। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের নির্দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করার অধিকার কি রাজ্যের আছে?” পাশাপাশি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে নিরপেক্ষ নয়, সেই যুক্তিও তুলে ধরা হয়। রাজ্যের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুপুর ২ টোর পর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত নিজের বক্তব্য পেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে মামলার পরবর্তী শুনানি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে।
অবশ্যই দেখবেন: দুয়ারে প্রসাদ প্রকল্পে বড় পরিবর্তন! জগন্নাথের মহাপ্রসাদ বিলিতে আর নেই সরকারের ভর্তুকি
শেষ পর্যন্ত কী বলল আদালত? | High Court Observation on Allowance Case
মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে গ্রুপ C ও D কর্মীদের কোনও টাকা দেওয়া হবে না (No Allowance Payment As of Now)। অর্থাৎ, সরকারের ঘোষণার পরও এখনই সেই ভাতা হাতে পাচ্ছেন না চাকরি হারানো কর্মীরা। এখন দেখার বিষয়, মামলার চূড়ান্ত রায়ে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা আশা করছেন, তাঁদের যুক্তিও যথাযথ ভাবে গুরুত্ব পাবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকেও নজর থাকবে সকলের।\
অবশ্যই দেখবেন: LIC দিচ্ছে মহিলাদের জন্য ২ লক্ষ টাকার সুবিধা! আবেদন করলেই মিলবে টাকা
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |