সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা প্রতিমাসে আয় থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করেন ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা ভবিষ্যতে কীভাবে বাড়বে, তা নিয়ে বিশেষ ভাবেন না। ফিক্সড ডিপোজিট, পোস্ট অফিস স্কিম, এমনকি সোনাতেও বিনিয়োগ করে নিশ্চিন্ত থাকেন অনেকেই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনই প্রয়োজন বাড়ছে টাকা বেড়ে ওঠারও। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুধু টাকা জমিয়ে রাখলেই চলবে না, সেই টাকাকে ‘কাজে লাগানো’ও জরুরি। অথচ অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, বিনিয়োগ (Investment) মানেই বড় অঙ্কের টাকা থাকা দরকার বা শেয়ারবাজারের জ্ঞান থাকতে হয়। এই ভুল ধারণার কারণেই বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ শুরু করেননি।
বিনিয়োগ না করে কেবল জমালে কী সমস্যা? (Mutual Fund Investment vs Idle Saving)
টাকা জমিয়ে রাখা যতটা নিরাপদ মনে হয়, বাস্তবে তা ততটাও লাভজনক নয়। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) সঙ্গে তাল মিলিয়ে টাকা যদি বাড়ে না, তাহলে ভবিষ্যতে প্রয়োজনের সময় সেই সঞ্চয় আর যথেষ্ট হবে না। অনেকেই যেহেতু শেয়ারবাজার বা স্টক মার্কেটকে (Stock Market) জটিল মনে করেন, তাই বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকেন। এই জায়গাতেই মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) হতে পারে একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। এমনকী যাঁদের বাজার সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই, তাঁরাও আজকাল সহজেই SIP বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP – Systematic Investment Plan) মারফত মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—কীভাবে শুরু করবেন?
Read More: Bitcoin কী? এটি কীভাবে কিনবেন, মাইন করবেন এবং ব্যবহার করবেন
মিউচুয়াল ফান্ড কেন আদর্শ? (Why Mutual Funds are Ideal)
যাঁরা বিনিয়োগে একেবারেই নতুন, তাঁদের জন্য মিউচুয়াল ফান্ড একটি ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ‘সহজে বোঝার মত’ অপশন। এখানে টাকা সরাসরি শেয়ারবাজারে নয়, বরং অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজাররা তা বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে বণ্টন করে থাকেন। ফলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া আপনি চাইলে মাসে মাত্র ₹৫০০ দিয়েও SIP শুরু করতে পারেন। অনেক কোম্পানি এমন কিছু স্কিম দেয়, যেখানে আপনি আপনার রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী (Risk Appetite) ফান্ড বেছে নিতে পারেন—Low Risk, Moderate Risk বা High Risk। এখানেই এসে যায় মূল বিষয়টি—শুরু করতে গেলে কী কী দরকার?
কীভাবে শুরু করবেন প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড যাত্রা? (How to Begin Mutual Fund Investment)
প্রথম ধাপে, আপনার একটি PAN কার্ড এবং অ্যাক্টিভ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার। এরপর KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আপনি চাইলে এটি অনলাইনেও করতে পারেন বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড প্ল্যাটফর্মে (Mutual Fund Platforms)। একবার KYC হয়ে গেলে আপনি SIP বা লাম-সাম (Lump Sum) পদ্ধতিতে টাকা ইনভেস্ট করতে পারবেন। অনেক অ্যাপ রয়েছে যেমন Groww, Zerodha, Paytm Money, যেগুলি মারফত আপনি ঘরে বসেই মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নিতে পারেন। প্রতিটি ফান্ডের সঙ্গে থাকে তার পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট (Performance Report), রেটিং এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণ। সেই অনুযায়ী নিজের জন্য উপযুক্ত ফান্ড বেছে নেওয়া খুবই সহজ।
Read More: Sangbad Pratidin
সঠিক প্ল্যানেই লাভ বেশি, পরিকল্পনাহীন বিনিয়োগ ক্ষতিকর (Plan before Investing in Mutual Fund)
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করতেই হবে—এমনটা নয়। কিন্তু যদি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত আর্থিক ভিত তৈরি করতে চান, তাহলে আজ থেকেই ছোট পরিমাণে বিনিয়োগ করা শুরু করুন। মনে রাখবেন, এখানে ধৈর্যই চাবিকাঠি। লং টার্ম ইনভেস্টমেন্টে (Long Term Mutual Fund Investment) মিউচুয়াল ফান্ড দারুণ ফল দেয়।সঠিক পরিকল্পনা (Proper Planning) আর রেগুলার রিভিউ (Regular Review) থাকলে আপনি আপনার ফিনান্সিয়াল গোল (Financial Goals) যেমন বাড়ি কেনা, সন্তানের পড়াশোনা, অবসরকালীন নিরাপত্তা—সবই অর্জন করতে পারেন। আজ না হয় ₹৫০০ দিয়েই শুরু করুন, ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য এটি হতে পারে একটি বড় পদক্ষেপ।
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |