এক কাপ চা-ই বদলে দিল ভাগ্য! দিনমজুরির হাত ধরে তৈরি ১০ কোটি টাকার সাম্রাজ্য

Raj Yadav’s Story: প্রতিকূলতাও হার মানতে বাধ্য হয় ইচ্ছে শক্তির কাছে । বহু মানুষ বারবার এই কথা প্রমাণ করেছে। উত্তরপ্রদেশের রাজ যাদবও সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। রাজ যাদবের জীবন কাহিনী আপনার জীবনের বেঁচে থাকার তাগিদ এবং এক নতুন দিশা দেখাবে। ইতিমধ্যেই তিনি লড়াইয়ের আইকন হয়ে গিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের জৌনপুর জেলার এক ...

Updated on:

Raj Yadav’s Story

Raj Yadav’s Story: প্রতিকূলতাও হার মানতে বাধ্য হয় ইচ্ছে শক্তির কাছে । বহু মানুষ বারবার এই কথা প্রমাণ করেছে। উত্তরপ্রদেশের রাজ যাদবও সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। রাজ যাদবের জীবন কাহিনী আপনার জীবনের বেঁচে থাকার তাগিদ এবং এক নতুন দিশা দেখাবে। ইতিমধ্যেই তিনি লড়াইয়ের আইকন হয়ে গিয়েছেন।

উত্তর প্রদেশের জৌনপুর জেলার এক ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছে রাজ। তাঁর বেড়ে ওঠা চরম দরিদ্রের মধ্যে। তাঁর বাবা ভূমিহীন কৃষক ছিলেন , সংসার চালাতে একটি ছোট দোকান চালিয়ে। দিনমজুরের কাজ করতেন পরিবারকে সাহায্য করার জন্য রাজ। তিনি বাবাকে সাহায্য করতে পরিবারের জন্য। তিনি ভীষণ চিন্তিত ছিলেন কৃষকদের সংগ্রাম নিয়ে ছোটবেলা থেকেই। যেমন ন্যায্য মূল্য না পাওয়া উৎপাদিত পণ্যের এবং মাটির উর্বরতা হ্রাস। প্রত্যক্ষ করেছিলেন সবই নিজের চোখে। কৃষকদের কষ্ট অনুভব করতে কিছু করতে না পারলে।

বদলে যায় জীবন ক্লাস টেনের পরেই

তিনি কখনও পড়াশোনাকে অবহেলা করেননি এত অভাবে। তাঁর জীবনে বদল আসে ক্লাস টেনের পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর থেকে। তাঁকে অনুপ্রাণিত করে বড় স্বপ্ন দেখতে তাঁর পরিবার এবং গ্রামবাসীর প্রশংসা। পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন পড়াশোনায় তিনি। বিটেক করেন কম্পিউটার সাইন্সের। তিনিই প্রথম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন তাঁর গ্রামের।

৩০০০ টাকা প্রথম চাকরিতেই

রাজ যাদব পড়াশোনা শেষ করে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন ভালো সুযোগের সন্ধানে। প্রথম চাকরি পেয়েছিলেন একটি ছোট আইটি কোম্পানিতে । তখন বেতন ছিল মাত্র ৩০০০ টাকা। একটি ছোট ঘর ভাড়া করে দিল্লিতে থাকতে হতো তাঁকে। তিনি তাঁর বেতন কয়েক মাসে তিনগুণ বাড়িয়ে নেন নিজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। রাজ সিদ্ধান্ত নেন নিজে উদ্যোগপতি হওয়ার, বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে অভিজ্ঞতা অর্জনের পরেই।

গ্রামিক প্রতিষ্ঠা এবং এইটটিন পিক্সেল

রাজ চমকে দেন ২০১২ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে। তিনি লখনউতে তৈরি করেন এইটটিন পিক্সেল উত্তরপ্রদেশের যুবকদের জন্য তাঁদের নিজ রাজ্যের মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে। ২০১১ শালির সবথেকে বড় সাফল্য আসে তাঁর । তখন গ্রামিক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। যে কোম্পানি প্রদান করে থাকে কৃষকদের কৃষি সরঞ্জাম পর্ন এবং পরামর্শ মূলক পরিষেবা। বর্তমানে ১০০ কোটি টাকারও বেশি গ্রামিকের আয়। শিল্পী ভবিষ্যৎ এবং কৃষিই ভিত্তি এটা বুঝতে পেরেছিল রাজ।

অবশ্যই দেখবেন: India US Tariff: ট্রাম্পের ৫০% শুল্কে দিশেহারা মার্কিন আমদানিকারকরা! ভারতের বদলে কোন দেশ ভরাতে পারে ঘাটতি?

Anamika Sen

দেশ-বিদেশের খবর, অর্থনীতি, জ্যোতিষ, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এবং টেকনোলজির জগৎ—এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
WhatsApp Icon