Ranna Pujo Arandhan Utsav 2025: কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই সকল পার্বণের মধ্যে অন্যতম হলো রান্না পূজা বা অরন্ধন (Ranna Pujo Arandhan Utsav)। বঙ্গে বছরে দু’বার অরন্ধন উৎসব (Ranna Pujo Arandhan Utsav) পালন করা হয়। একবার মাঘ মাসে সরস্বতী পূজার পরের দিন শীতলষষ্ঠীতে এবং আরেকটি, ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন। মনসা পূজার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল এই ‘অরন্ধন’ উৎসব। নিয়ম অনুযায়ী, এই দু’দিন বাড়িতে উনুন জ্বালানো যায়না। তাই আগের দিন রান্না করে, সেই বাসি খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে অরন্ধনে।
ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিন মাসে খাওয়া এই নিয়মই অরন্ধনের মূল বিষয়। হেঁশেলের একস্থান পরিষ্কার করে ফণিমনসা কিংবা শালুক গাছের ডাল সাজিয়ে মনসার ঘট সাজিয়ে বিশেষ পূজাপাঠ করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন প্রায় সারা রাত জেগে চলতে থাকে রান্নাবান্নার (Ranna Pujo Arandhan Utsav) আয়োজন।
জেনে নিন, এবছর রান্না পুজো বা অরন্ধন কবে?
বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে অর্থাৎ আজ রান্না পূজা। এবছর ১৭ই সেপ্টেম্বর, পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। সেই কারনে ১৬ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ রান্না পূজা পালন করা হবে।
জানুন, অরন্ধন কথার অর্থ
অরন্ধন (Ranna Pujo Arandhan Utsav) কথার আক্ষরিক অর্থ হল, যে দিন রন্ধন নিষিদ্ধ। তবে ‘অরন্ধন’ বা ‘রান্নাপুজো’ হিন্দুদের এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে পালন করা হয়। পূজার আগের দিন রাতে রান্না করে সেই বাসি খাবার পরের দিন খাওয়ার রীতিই হল ‘অরন্ধন’।মরসুমের সেরা সবজি ও মাছ আরাধ্য দেবতাকে নিবেদন করাই হলো রান্নাপুজোর প্রধান লক্ষ্য। বলা হয়, রান্নাপুজো আসলে গৃহদেবতা ও উনুনের পূজা।
জানেন, কেন ঠান্ডা খাবার খেতে হয় অরন্ধনে?
কথিত আছে, সাপ গরম খাবার সহ্য করতে পারে না ৷ তাই তাদের দেবীর পূজার্চনায় শীতল খাবারই প্রসাদ৷ ভাদ্র বা বছরের অন্য যে কোনও সময়ে মনসাদেবীর পূজা হলেও ধূপ ধুনোর প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ ৷ রান্না পূজার ভোগ নতুন বাসনে, নতুন চালে রান্না করতে হয়।
বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে রান্নাপূজা
সাধারণত বিশ্বকর্মা পূজার আগের রাত থাকে অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে সারা রাত জেগে গৃহস্থ বাড়িতে অরন্ধন উৎসব হয়। দেবীপক্ষের আগে রান্না পূজাই বাঙালিদের শেষ উৎসব। এরপর সকল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে মহালয়ার পরে, সুপর্বে। দেবী দুর্গার মর্তে আগমনের পর বাঙালি উৎসবমুখী হয়ে ওঠে, তাই দেবীর অপর নাম ‘সুপর্বা’।
জানুন, রান্নাপূজার রীতিনীতি
রান্নাপুজোর (Ranna Pujo Arandhan Utsav) পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পূজায় মূলত বাসি খাবার খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। যার মধ্যে পান্তা উল্লেখযোগ্য। অনেক বাড়িতে আমিষ রান্না পূজা করা হলেও অনেক গৃহস্থ বাড়িতে এই পার্বণ একেবারে নিরামিষ হয়। আমিষের মধ্যে ইলিশ -চিংড়ি মাছ অন্যতম। এছাড়াও আরও ভিন্ন ধরণের মাছ থাকে এই তালিকায়। নিরামিষ পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকমারি ভাজা, ছোলা -নারকেল দিয়ে কচু শাক সহ একাধিক শাক, পান্তা ভাট, মুগ ও খেসারির ডাল, চালতা- গুড় দিয়ে চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া ইত্যাদি।
অবশ্যই দেখবেন: ITR filing last date 2025: আজই শেষ তারিখ ITR-এর! দেরি হলে দিতে হবে জরিমানা; জানুন বিস্তারিত
তবে বর্তমানে শহরে কর্মব্যস্ততার কারণে উৎসবের এই মেজাজ ও রীতিনীতি অনেকটা শিথিল হলেও গ্রামাঞ্চল বা শহরতলিতে এখনও এই পার্বণ ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। রান্নাপুজো মূলত পশ্চিমবাংলার আদী বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা পালন করে থাকেন। এটি পূর্ববঙ্গীয়দের রীতি নয়।
অবশ্যই দেখবেন: DA Hike 2025: দীপাবলির আগেই সুখবর! আসছে 8ম পে কমিশন ও DA ঘোষণা? সরকারি কর্মীদের উৎসবের উপহার





