Sabooj Sathi Prakalpa 2025: সবুজ সাথী প্রকল্পে নতুন চমক! ১২ লক্ষ পড়ুয়ার হাতে পৌঁছবে সাইকেল

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। সেরকমই পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবারও সবুজ সাথী (Sabooj Sathi Prakalpa 2025) প্রকল্পকে নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এবার ফেজ XI-তে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের তালিকা যাচাই এবং সাইকেল বিতরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে ১০ বছর ...

Updated on:

Sabooj Sathi Prakalpa 2025

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। সেরকমই পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবারও সবুজ সাথী (Sabooj Sathi Prakalpa 2025) প্রকল্পকে নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এবার ফেজ XI-তে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের তালিকা যাচাই এবং সাইকেল বিতরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন।

এই প্রকল্পের (Sabooj Sathi Prakalpa 2025) মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের স্কুলপড়ুয়া যাতে সহজ যাতায়াত করতে পারে, যাতে পড়াশোনায় কোনও সমস্যা না হয় সেই লক্ষ্য রেখে শুরু হয়েছিল। প্রকল্প চালুর প্রথম বছরেই প্রায় ২৫ লক্ষ সাইকেল বিতরণ করা হয়। পরবর্তী ধাপে আরও ১৫ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়। অর্থাৎ, প্রথম দুই পর্যায়ে মোট ৪০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সাইকেল পেয়েছে।

এরপর তৃতীয় পর্যায়ে আরও প্রায় ২৫ লক্ষ সাইকেল সংগ্রহ ও বিতরণ করা হয়েছে। এর ফলে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য পড়ুয়া প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে উপকৃত হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শুধু সাইকেল দেওয়া নয়, বরং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে টিকে থাকা এবং ঝরে পড়ার হার কমানো।

২০২৫ সালের জুন মাসে ফেজ XI-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার বাংলার শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১৩ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যাচাই শেষে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে যাবে নতুন সাইকেল।

এই প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে এবার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। একটি NIC-সমর্থিত অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে সমস্ত তথ্য এক জায়গায় সংরক্ষিত থাকবে। এর পাশাপাশি Standard Operating Procedure (SOP) তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি ধাপ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়।

ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে আর কোনও জটিলতা বা দেরি হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই প্রকল্প গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। যাতায়াতের সমস্যা দূর হলে তাদের স্কুলে উপস্থিতির হার বাড়বে, একই সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে।

অবশ্যই দেখবেন: Lakshmir Bhandar: নতুন নিয়ম না মানলেই বন্ধ টাকা! সেপ্টেম্বরে বড় ধাক্কা পেতে পারেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার গ্রাহকরা

Anamika Sen

দেশ-বিদেশের খবর, অর্থনীতি, জ্যোতিষ, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এবং টেকনোলজির জগৎ—এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
WhatsApp Icon