কলকাতায় ছায়াহীন দুপুর! আসছে ‘Zero Shadow Day’ 2025-এ

13th May, 2025: কলকাতা শহর আবারও এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। ভাবুন তো, এমন একটা দুপুর যখন মাথার ওপর গনগনে সূর্য, অথচ আপনার পায়ের তলার মাটি একেবারে ছায়াশূন্য! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই সত্যি। 2025 সালে দু’বার কলকাতায় আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ – ‘জিরো শ্যাডো ডে’ (Zero Shadow Day)। বিজ্ঞানের ...

Published on:

কলকাতায় ছায়াহীন দুপুর! আসছে ‘Zero Shadow Day’ 2025-এ

13th May, 2025: কলকাতা শহর আবারও এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। ভাবুন তো, এমন একটা দুপুর যখন মাথার ওপর গনগনে সূর্য, অথচ আপনার পায়ের তলার মাটি একেবারে ছায়াশূন্য! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই সত্যি। 2025 সালে দু’বার কলকাতায় আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ – ‘জিরো শ্যাডো ডে’ (Zero Shadow Day)। বিজ্ঞানের ভাষায় এই ঘটনা বিরল হলেও, আমরা কলকাতাবাসীরা এবার তা চোখের সামনে দেখতে পাব। এই বিশেষ দিন দুটি কবে, কখন ঘটবে, তা জানতে চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কবে দেখা যাবে কলকাতার ‘Zero Shadow Day’?

কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য 2025 সাল এক বিশেষ জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে। এই বছর, শহরবাসী দু’বার জিরো শ্যাডো ডে-র সাক্ষী থাকবেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রথমবার এই ঘটনাটি ঘটবে 5ই জুন, সকাল 11টা 34 মিনিট 54 সেকেন্ডে। এরপর, দ্বিতীয়বার 7ই জুলাই, সকাল 11টা 41 মিনিট 24 সেকেন্ডে একই phenomenon দেখা যাবে। এই সময়গুলিতে, সূর্য ঠিক মাথার উপরে অবস্থান করার কারণে ভূপৃষ্ঠে থাকা কোনো বস্তুর ছায়া পড়বে না।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

Read More: নতুন দীঘায় কি দক্ষিণেশ্বরের আদলে কালী মন্দির স্থাপিত হলো? ভক্ত ও পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ কেন্দ্র শান্তিশ্বরী কালী মন্দির

কেন ঘটে এই মহাজাগতিক ঘটনা?

অনেকের কাছেই হয়তো এটি নতুন বিষয়, তবে কর্কটক্রান্তি (Tropic of Cancer) এবং মকরক্রান্তি (Tropic of Capricorn) রেখার মধ্যবর্তী স্থানে বছরে দুবার জিরো শ্যাডো ডে পালিত হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এটি একটি বিরল সময়। এই দিনগুলোতে, দুপুরে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়, যার ফলে মানুষসহ অন্যান্য বস্তু প্রায় 1 থেকে 1.5 মিনিটের জন্য ছায়াহীন হয়ে পড়ে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বিজ্ঞানীরা কী বলছেন এই বিরল ঘটনা নিয়ে?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যারা এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে চান, তাঁদের সকাল 11টার আগে থেকে নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে। এক থেকে দেড় মিনিটের জন্য তৈরি হবে ছায়াহীন অবস্থা—যা বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী ও বিজ্ঞানমনস্কদের জন্য দারুণ এক শেখার সুযোগ। তাদের মতে, এই ঘটনা পৃথিবীর ঘূর্ণন, ঋতু পরিবর্তন এবং আকাশে সূর্যের অবস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণাগুলি উপলব্ধি করার এক দারুণ সুযোগ করে দেয়। প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস এই ছায়ার ব্যবহার করেই পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেছিলেন। 

তাই যারা সূর্য, ছায়া, এবং মহাবিশ্বের আচরণ নিয়ে জানতে চান, তাদের জন্য Zero Shadow Day নিঃসন্দেহে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা হয়ে উঠতে চলেছে।

Read More: গণপতির কৃপায় এই ৩ রাশির জীবনে আসবে সোনালি সময়! আজকের রাশিফল, ১৮ জুন