কলকাতা: ২০১৬ সালের SSC (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারানো শিক্ষকদের (SSC Teacher) জন্য আশার আলো দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে এই শিক্ষকদের তাদের পুরনো সরকারি চাকরিতে পুনর্বহাল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ সেই সমস্ত শিক্ষকদের জন্য একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে যারা তাদের আগের চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছিলেন।
পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়া এবং বর্তমান অবস্থা
শিক্ষা বিভাগের সূত্র অনুসারে, ইতিমধ্যেই ২০ জনকে তাদের পুরনো বিভাগ, যেমন স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদের পুনরায় যোগদানের সুবিধার্থে এই বিভাগগুলিতে আনুষ্ঠানিক চিঠিও পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৪,৫০০ জন বরখাস্ত শিক্ষক তাদের পুরনো সরকারি চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছেন এবং রাজ্য সরকার বর্তমানে এই আবেদনগুলি পর্যালোচনা করছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারকে “যোগ্য” বরখাস্ত শিক্ষকদের আবেদন জমা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে, আবেদন করার তিন মাস পরেও কোনও সাড়া না পেয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন যে এই প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হতে পারে।
শিক্ষকদের উদ্বেগ এবং দাবি
চাকরি ফিরে পাওয়ার খবরে স্বস্তি পেলেও, শিক্ষকদের (SSC Teacher) মধ্যে কিছু উদ্বেগও বিরাজ করছে। অনেক শিক্ষক (SSC Teacher) আশঙ্কা করছেন যে পুনর্বহালের পর তাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে স্থানান্তর করা হতে পারে। এটি তাদের জন্য উদ্বেগের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি) শিক্ষা বিভাগের কাছে পুনর্বহাল প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার এবং শিক্ষকদের (SSC Teacher) সুবিধাজনক স্থানে নিয়োগ নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেছেন যে তারা চান না মেধা তালিকার নীচে থাকা যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হন।
সরকারি পদক্ষেপ এবং স্বচ্ছতা
স্কুল শিক্ষা বিভাগ বিভিন্ন জেলা থেকে আবেদনকারীদের পূর্ববর্তী চাকরি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, যেমন ২০১৬ সালের SLST (রাজ্য স্তর নির্বাচন পরীক্ষা) এর মাধ্যমে স্কুলে তাদের যোগদানের বিবরণ, বেতন এবং স্থানান্তরের ইতিহাস। এই সমস্ত তথ্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তার সবুজ সংকেত পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও রাজ্যের এই পদক্ষেপের ফলে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা সাময়িকভাবে স্বস্তি পেয়েছেন, তবুও তাদের ভবিষ্যতের পদায়ন এবং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় যে রাজ্য সরকার আগামী দিনে এই সমস্যাগুলি কীভাবে মোকাবেলা করবে।
অবশ্যই দেখবেন: বিদায় বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়! দীর্ঘ অসুস্থতার পর না ফেরার দেশে জনপ্রিয় অভিনেত্রী
