Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিল ভারত। পুলওয়ামার ঘটনার পর যেখানে কড়া বার্তা দিলেও চুক্তি বাতিল করেনি মোদি সরকার, সেখানে পহেলগাঁও হামলার পর এবার জল-যুদ্ধের পথে হাঁটল নয়াদিল্লি। এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্য বড় বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সিন্ধু জল চুক্তি কী? Indus Water Treaty
সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) হল ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি সম্পাদিত হয়।
চুক্তির বিবরণ | তথ্য |
---|---|
স্বাক্ষরের বছর | ১৯৬০ |
স্বাক্ষরকারী দেশ | ভারত ও পাকিস্তান |
তৃতীয় পক্ষ | বিশ্বব্যাঙ্ক |
উদ্দেশ্য | সিন্ধু ও উপনদীগুলির জল ন্যায়সঙ্গতভাবে ভাগ করা |
চুক্তির অধীনে মোট ৬টি নদীকে ভাগ করা হয়েছিল—
- ভারত পায়: বিয়াস, রাভি, শতদ্রু
- পাকিস্তান পায়: সিন্ধু, চেনাব, ঝিলম
কে কতটা জল পায়? [চুক্তির পরিসংখ্যান]
নদী | বরাদ্দ দেশ | গড় বার্ষিক প্রবাহ (বিলিয়ন বর্গমিটার) |
---|---|---|
বিয়াস, রাভি, শতদ্রু | ভারত | ৪১ |
সিন্ধু, চেনাব, ঝিলম | পাকিস্তান | ৯৯ |
👉 এর মানে, পাকিস্তান মোট জলপ্রবাহের প্রায় ৭০% পায়, আর ভারত পায় ৩০%।
ভারতের কী অধিকার ছিল?
ভারত কিছু সীমিত ব্যবহারের অধিকার পায়—
- সেচ (irrigation)
- জলবিদ্যুৎ উৎপাদন (hydropower)
- মাছ চাষ
- নৌ চলাচল
তবে, বড় জলাধার তৈরি বা জল সংরক্ষণের ক্ষমতা সীমিত ছিল।
কেন স্থগিত হল চুক্তি?
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ঘটে সন্ত্রাসবাদী হামলা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু জল চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অতীতে কী ঘটেছিল?
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন: “রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।” তবে সেই সময় চুক্তি স্থগিত হয়নি। এইবার চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিল ভারত— সীমান্তে সন্ত্রাস চললে, বন্ধ হবে জলও!
পাকিস্তানের জন্য বিপদের ঘণ্টা!
পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক দেশগুলির মধ্যে একটি। দেশটির জল সরবরাহ ও কৃষি ব্যবস্থার উপর সিন্ধু নদী অববাহিকার নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি।
খাত | সিন্ধু নদীর উপর নির্ভরতা |
---|---|
কৃষি উৎপাদন | ৯০% |
জিডিপি অবদান | ২৪% |
কর্মসংস্থান | ৪৫% |
রফতানি | ৬০% এরও বেশি |
জলপ্রবাহ বন্ধ হলে কী হবে?
- খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে
- চাষাবাদ মার খাবে
- বেকারত্ব বাড়বে
- জিডিপিতে ধস নামবে
- রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে
জল অস্ত্র: কৌশল না প্রতিশোধ?
ভারতের এই পদক্ষেপকে অনেকেই বলছেন একটি “জল অস্ত্র” (Water Weapon)। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি স্থগিত রাখার মাধ্যমে ভারত—
- পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে ফেলছে
- সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে
- এবং সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত
ভারতের শর্ত কী?
ভারত বলেছে, যদি পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করে, অপরাধীদের শাস্তি দেয়, তবে চুক্তি আবার আগের মতোই চালু হতে পারে। এই অবস্থান একদিকে মানবিক, অন্যদিকে কৌশলগত চাপ তৈরি করে।
কূটনৈতিক চালে ঘায়েল পাকিস্তান?
ভারতের এই পদক্ষেপ শুধু জল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত বার্তা— সন্ত্রাস ও শান্তি একসাথে চলতে পারে না। এখন দেখার বিষয়, পাকিস্তান কী সিদ্ধান্ত নেয়— সীমান্ত সন্ত্রাস ছাড়বে, নাকি জল হারাবে? নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের Tollywood Online কে।
অবশ্যই দেখবেন: আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ! মোদি সরকারের মাস্টারস্ট্রোক, পাকিস্তানের সামনে এবার চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট
📅 বিষয় | 🔗 লিংক/বিবরণ |
---|---|
🌤 আবহাওয়া আপডেট | ✅ প্রতিদিনের আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের ফলো করুন |
🔮 রাশিফল | ✅ দৈনিক রাশিফল ও জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক পরামর্শ |
💬 হোয়াটসঅ্যাপ | 👉 WhatsApp গ্রুপে যোগ দিন |
📢 টেলিগ্রাম | 👉 Telegram চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন |
📰 অন্যান্য আপডেট | ✅ View More |