Winter Forecast: চলতি বছরে বর্ষার তাণ্ডবে নাজেহাল সকলেই। ঘন ঘন নিম্নচাপের ফলে দেশ জুড়ে তুমুল ঝড় বৃষ্টি। দুর্যোগপূর্ব আবহাওয়া আগাস্টের শেষে চালিয়ে যাচ্ছি ধ্বংসলীলা। ফলে কোথাও বন্যা কোথাও হড়পা বান আবার কোথাও ধস। ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এবার শীতেও চরম আবহাওয়া থাকবে বর্ষার মতোই। যেমন বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে বর্ষায় , ঠিক তেমনি শীতকালেও নিম্নমুখী থাকতে পারে তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড হারে আশঙ্কা হাওয়া অফিসের।
লা নিনার প্রভাব
এখন সক্রিয় রয়েছে লা নিনা জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনওএএ সংস্থা । এর ফলে চলতি বছরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা (Winter Forecast) অনুভূত হতে পারে ভারতবর্ষে। জানা যাচ্ছে যে, লা নিনা সক্রিয় হতে পারে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৫৩ শতাংশ। লা নিনা সক্রিয় থাকতে পারে পুরো শীত জুড়েই অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের শুরু পর্যন্ত। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে চলতি বছরের বর্ষার মতো শীতেও ভোগান্তি রয়েছে।
পূর্ব থেকে পশ্চিমে বয়ে চলা বায়ুর চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটে নিনা-এর সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জানান বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় পশ্চিম দিকে উষ্ণ জলস্রোত প্রবাহিত হতে পারে। তখনই সমুদ্রের উপরিভাগে জল ঠান্ডা হয়ে যায় যখন নিনা চলাকালীন সমুদ্রের গভীর থেকে উঠে আসে ঠান্ডা জল। এর ফলে স্বাভাবিকের থেকে ঠান্ডা হয়ে যায় মহাসাগরীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারতবর্ষ , পূর্ব আফ্রিকা এছাড়াও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুলিতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে (Winter Forecast)। এর পাশাপাশি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকে উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং পূর্ব এশিয়ায়।
আবহাওয়াবিদদের মতামত
তুলনামূলক দুর্বল থাকতেও পারে লা নিনা আগামী দিনে অনুমান করেন আবহাওয়াবিদরা। অর্থাৎ সব জায়গায় সমান ভাবেই এর প্রভাব দেখা যাবে না। বলা যেতে পারে বর্ষায় একটানা ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকল দেশ লা নিনার প্রভাবে। এবার এর প্রভাবে দক্ষিণ আমেরিকার এবং আফ্রিকায় দেখা মিলবে বৃষ্টির। চরম আবহাওয়ার সম্ভাবনা থাকে শীতেও, লা নিনার (Winter Forecast) প্রভাবে। হু হু করে নামবে ভারতবর্ষে তাপমাত্রার পারদ। থাপ্রবাহের আশঙ্কা বাড়ে এল নিনো সক্রিয় থাকলে। কিন্তু নিনা সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা বেশি সেপ্টেম্বর থেকে। এর ফলে ভারত ও এশিয়ার বহু দেশেও ঠান্ডা পড়তে পারে হাড় কাঁপানোর মতো।
অতীতে লা নিনা সক্রিয় ছিল একটানা তিন বছর। সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। যা পরিচিত ট্রিপল ডিপ লা নিনা (Winter Forecast) বলে। আবার এল নিনো সক্রিয় হয়ে ওঠে ২০২৩ সালে। স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে লা নিনা এবং এল নিনোর প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি থাকতে পারে চলতি বছর অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মধ্যে। এর ফলে আগে থেকেই অনুভূত হতে পারে শীতের আমেজ।
অবশ্যই দেখবেন: Mamata Banerjee: বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের আসন বাড়বেই! জোর গলায় ঘোষণা মমতার, জানুন কেন এত আত্মবিশ্বাস?