Post Office Scheme: টাকা জমানো বা বিনিয়োগের কথা উঠলেই আমাদের প্রথম চিন্তা থাকে – নিরাপত্তা আর নিশ্চিত রিটার্ন। অনেকেই শেয়ার বাজার বা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় টাকা রাখতে চান না। বরং চান এমন এক Post Office Scheme, যেখানে সরকারের নিশ্চয়তা আছে, এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে একটা ভালো অঙ্কের টাকা হাতে পাওয়া যায়।
ঠিক এরকমই একটি জনপ্রিয় বিকল্প হলো ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC)। ছোট থেকে মাঝারি বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি দারুণ নিরাপদ এবং সোজা বিনিয়োগের পথ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই স্কিমের খুঁটিনাটি।
ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC) কী?
Post Office Scheme-এর মধ্যে NSC একটি বিশেষ সঞ্চয়পত্র। এটি এক ধরনের ফিক্সড ইনকাম ইনভেস্টমেন্ট, যেখানে আপনার মূলধন ও সুদ – দুটোই সরকারি গ্যারান্টিতে সুরক্ষিত।
- মেয়াদ – ৫ বছর
- সুদ – বর্তমানে ৭.৭% (বার্ষিক কম্পাউন্ড, তবে মেয়াদপূর্তিতে দেওয়া হয়)
- ন্যূনতম বিনিয়োগ – মাত্র ₹১,০০০
- সর্বোচ্চ সীমা – নেই
মানে, আপনি চাইলে ছোট থেকে বড় – যেকোনো অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
অবশ্যই দেখবেন: SBI Best Investment Scheme: সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সেরা বিনিয়োগ! SBI-তে মাসে ₹৬,০০০ দিলেই রিটার্ন ₹৪.২৫ লক্ষ
Post Office Scheme – প্রধান বৈশিষ্ট্য
- গ্যারান্টেড রিটার্ন – সরকার নির্ধারিত সুদ, যা মেয়াদ শেষে একবারে পাওয়া যায়।
- ট্যাক্স বেনিফিট – আয়কর আইনের ধারা 80C অনুযায়ী বছরে ₹১.৫ লক্ষ পর্যন্ত ছাড়।
- লোন সুবিধা – আপনার NSC সার্টিফিকেট ব্যাংকে জামানত রেখে ঋণ নেওয়া যায়।
- সহজ প্রক্রিয়া – নিকটবর্তী পোস্ট অফিসেই খোলা যায়।
- নমনীয় বিনিয়োগ – ছোট অঙ্ক দিয়েও শুরু করা সম্ভব।
- নমিনেশন সুবিধা – পরিবারের সদস্যকে নমিনি করা যায়।
Post Office Scheme – কত টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়?
চলুন একটি উদাহরণে দেখি – আপনি যদি ₹১,০০,০০০ বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৫ বছর পর আপনার হাতে আসবে প্রায় ₹১,৪৫,০০০ টাকা। কারণ প্রতি বছর সুদ যোগ হয়ে কম্পাউন্ড হয়, এবং শেষের অঙ্কটা অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। এইভাবে ছোট ছোট বিনিয়োগও কয়েক বছরে বড় অঙ্কে পরিণত হয়।
অবশ্যই দেখবেন: New Birth Certificate Rules: জন্ম সার্টিফিকেট নিয়ে বড় খবর! বদলে গেল বহু নিয়ম, না জানলে হবে বিপত্তি
কারা এই Post Office Scheme-এ বিনিয়োগ করবেন?
- যাঁরা ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ চান
- চাকরিজীবীরা, যাঁরা ট্যাক্স সেভ করতে চান
- অভিভাবকরা, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাতে চান
- অবসরপ্রাপ্তরা, যাঁরা নিরাপদ রিটার্ন চান
- নতুন বিনিয়োগকারীরা, যাঁরা শেয়ার বাজারে ঢুকতে চান না
NSC-তে বিনিয়োগের জন্য দরকারি নথি
- আধার কার্ড বা প্যান কার্ড (পরিচয় প্রমাণ)
- ঠিকানার প্রমাণ (ভোটার কার্ড/বিল ইত্যাদি)
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- মোবাইল নম্বর
- নামিনির তথ্য (ঐচ্ছিক হলেও ভালো)
অবশ্যই দেখবেন: Post Office Scheme: মাত্র ৬০ হাজার টাকার ইনভেস্টমেন্টে রিটার্ন ১৬.২৭ লক্ষ! পোস্ট অফিসের স্কিমে দারুণ চমক
কীভাবে Post Office Scheme-এ বিনিয়োগ করবেন?
- নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে যান
- NSC আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন
- প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র জমা দিন
- ন্যূনতম ₹১,০০০ দিয়ে শুরু করুন
- টাকা জমা দেওয়ার পর সার্টিফিকেট (ফিজিক্যাল বা ই-সার্টিফিকেট) পাবেন
এভাবেই অতি সহজে এই বিনিয়োগ শুরু করা যায়।
কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার?
- মাঝপথে টাকা তোলা যায় না (বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া)
- সুদ কেবল মেয়াদপূর্তিতে মেলে
- সুদের হার প্রতি কোয়ার্টারে সরকার নির্ধারণ করে, তবে আপনার কেনা সময়ের হার স্থির থাকে
- NSC বাজারে কেনাবেচা করা যায় না
- এক পোস্ট অফিস থেকে অন্যটিতে ট্রান্সফার করা যায়
Post Office Scheme বনাম ফিক্সড ডিপোজিট
অনেকে প্রশ্ন করেন – NSC কি সত্যিই FD-এর চেয়ে ভালো?
- NSC সাধারণত বেশি সুদ দেয়
- 80C ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়া যায়
- কম্পাউন্ড ইন্টারেস্টে রিটার্ন বেশি হয়
তাই অনেকের কাছে NSC-ই FD-এর থেকে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
আজকের দিনে যখন বাজার ঝুঁকিপূর্ণ, তখন একটি নিরাপদ Post Office Scheme যেমন ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC) সত্যিই ভরসার জায়গা। নিয়মিত সঞ্চয় করলে এবং ৫ বছর মেয়াদ ধরে রাখলে, আপনি নিশ্চিতভাবে একটি ভালো অঙ্কের টাকা হাতে পাবেন। যাঁরা পরিবার, সন্তানের পড়াশোনা বা ভবিষ্যতের জন্য নির্ভরযোগ্য ফান্ড তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এটি এক দুর্দান্ত বিকল্প।
Disclaimer
এই প্রবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য লেখা হয়েছে। এখানে উল্লেখিত সুদের হার, ট্যাক্স সুবিধা বা নিয়মাবলী সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হতে পারে। পাঠকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বিনিয়োগের আগে সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে সর্বশেষ তথ্য জেনে নিন।
অবশ্যই দেখবেন: শিয়ালদা থেকে বনগাঁ-কৃষ্ণনগর রুটে নয়া AC লোকাল! কবে থেকে শুরু পরিষেবা? — New AC Local Train