Maa Canteen: রাজ্যে মা ক্যান্টিন চালুর মূল লক্ষ্যই ছিল দুস্থ দরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে নিম্নবিত্তদের ক্ষুধা নিবারণ। মা ক্যান্টিন পরিচালনা করা হয়ে থাকে রাজ্যে যে সকল পৌরসভা রয়েছে সেই সকল পৌর এলাকায় রাজ্য পুর দপ্তরের তরফ থেকে। যেখানে প্রচুর মানুষেরা সমবেত হয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা ক্যান্টিন খোলার সুত্রপাত ঘটে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে। সেই সময়ের ঘোষণায় মাত্র ৫ টাকায় ভাত, ডাল, ডিম, তরকারি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে এই সকল মা ক্যান্টিনের পথ চলা বন্ধ হয়ে গিয়ে আবার তা পুনরায় শুরু হতে দেখা গিয়েছে। এবার এই মা ক্যান্টিন নিয়ে আরও বেশি তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা ক্যান্টিন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রত্যেক বাজার এবং হকিং এলাকায়। যেই বলা, সেই কাজ। নির্দেশ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যে যে সকল পৌরসভা রয়েছে সেই সকল পৌরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে করে তারা তাদের এলাকায় কতগুলি বাজার রয়েছে এবং সেখানে মা ক্যান্টিন খোলার জন্য জায়গা রয়েছে কিনা তা দ্রুত জানাতে।
আগের হিসেব অনুযায়ী ১১০০ বাজার রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এরপরে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর কোথাও কোনরকম বাজার বেড়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছে। এই নতুন তথ্য জানার পর দপ্তরের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরো কত জায়গায় মা ক্যান্টিন খোলা হবে সেই বিষয়ে। এমনকি এই বিষয়টির ঠিকঠাক পর্যালোচনার লক্ষ্যেও এগিয়ে এসেছেন খোদ মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌর নিগমের ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: TRP List: সকলকে অবাক করে দিয়ে এবারেও বেঙ্গল টপার জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’, পিছিয়ে স্টার জলসা
২০২১ সালে ৩২ টি ক্যান্টিন নিয়ে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্পের পথ চলা। ২০২২ সালে ক্যান্টিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১২। বর্তমানে এ রাজ্যে মা ক্যান্টিনের সংখ্যা ৩৩০। আর এরপরেও রাজ্য সরকার আরো বিভিন্ন জায়গায় মা ক্যান্টিনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইছে। আসলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষদের দুপুর বেলার খাবার যোগানোর লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।