গ্যাসের দামে ৩০০ টাকা ছাড়! মাসের শুরুতেই বিশাল সুখবর, দেখে নিন বিস্তারিত নিয়ম!

গত কয়েক মাস ধরেই গ্যাসের দামে লাগাতার বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানিয়েছে, এলপিজি গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এক ধাক্কায় রান্নার খরচ বেড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (Pradhan Mantri Ujjwala Yojana) আওতাধীন গ্রাহকদের জন্য এসেছে বড় স্বস্তির খবর। এই প্রকল্পের অধীনে গ্যাস কিনতে মিলবে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি। কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র পরিবার।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি: সাধারণের চিন্তা বাড়াচ্ছে

২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ৫০ টাকা। এখন বাজারে একটি ১৪.২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের দাম সাধারণ গ্রাহকদের জন্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৫৩ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধিতে বহু পরিবারে মাসিক বাজেটের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

উজ্জ্বলা যোজনায় (Pradhan Mantri Ujjwala Yojana) গ্যাসের দামে বড় ছাড়: ৩০০ টাকার ভর্তুকি

যদিও গ্যাসের দাম বাড়লেও, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (Pradhan Mantri Ujjwala Yojana) গ্রাহকদের জন্য রয়েছে বড় স্বস্তি। সরকার ঘোষণা করেছে, এই প্রকল্পের আওতায় থাকা গ্রাহকদের প্রতিটি সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই ভর্তুকি সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে। অর্থাৎ, গ্রাহক পুরো দাম দিলেও পরে তাঁর অ্যাকাউন্টে ফেরত আসবে ৩০০ টাকা।

অবশ্যই দেখবেন: নিম্নচাপ গেলেও বৃষ্টির ভয় কাটেনি! দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আজ? দেখে নিন বিস্তারিত

কোন কোন গ্রাহকরা পাবেন এই সুবিধা?

এই সুবিধা শুধুমাত্র তাঁরাই পাবেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় গ্যাস সংযোগ নিয়েছেন।

শর্তাবলী:

• ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
• বিপিএল (Below Poverty Line) পরিবার হতে হবে।
• বাড়িতে পূর্বে কোন এলপিজি সংযোগ থাকা চলবে না।
• আধার কার্ড ও বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।

উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের বর্তমান দাম কত?

উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে গ্রাহকরা এলপিজি সিলিন্ডার পাচ্ছেন মাত্র ৫৫০ টাকায়। সাধারণ গ্রাহক যেখানে ৮৫০ টাকারও বেশি দামে সিলিন্ডার কিনছেন, সেখানে উজ্জ্বলা গ্রাহকরা পাচ্ছেন প্রায় ৩০০ টাকা ছাড়ে। এই ভর্তুকি তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তরিত হয়, যা আর্থিকভাবে স্বস্তি দেয়।

অবশ্যই দেখবেন: বাচ্চাদের গরমের ছুটি শেষ! এই তারিখেই খুলছে স্কুল! শিক্ষা দপ্তরের বড় ঘোষণা!

উজ্জ্বলা যোজনা কবে শুরু হয়েছিল?

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু হয় ১লা মে, ২০১৬ সালে। এটি প্রথম শুরু হয় উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা থেকে। পরে ধাপে ধাপে সমগ্র দেশে এটি চালু করা হয়। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল গরিব মহিলাদের কাঠ, কয়লার দূষণ থেকে মুক্তি দিয়ে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর জ্বালানির ব্যবস্থা করে দেওয়া।

অবশ্যই দেখবেন: গরমের ছুটি শেষ! স্কুল খুলছে কবে? সরকারি ঘোষণা জেনে নিন এখনই!

কতজন গ্রাহক উপকৃত হয়েছেন এই যোজনায়?

২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে ১০ কোটি পরিবারেরও বেশি গ্রাহক রয়েছেন। ২০২৩ সালেই নতুন করে ৭৫ লক্ষ পরিবারকে এই যোজনায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য এই প্রকল্প কতটা কার্যকরী।

উজ্জ্বলা যোজনায় নাম নথিভুক্তির পদ্ধতি কী?

যদি আপনি প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় নাম নথিভুক্ত করতে চান, তবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

উজ্জ্বলা যোজনার প্রভাব ও সুবিধা

এই যোজনার মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মহিলা রান্নার সময় ধোঁয়া থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কাঠ বা কয়লার ধোঁয়া ফুসফুসের ক্ষতি করে, যা থেকে মুক্তি দিয়েছে এলপিজি গ্যাস।

প্রধান সুবিধাগুলি:

• স্বাস্থ্য সুরক্ষা বৃদ্ধি
• রান্নার সময় হ্রাস
• পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে জ্বালানি ব্যবহার
• আর্থিকভাবে সুবিধা
• নারীর ক্ষমতায়ন

 কীভাবে জানবেন আপনি উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্ভুক্ত কিনা?

আপনি https://www.pmuy.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার আধার বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে চেক করতে পারেন আপনি এই যোজনার গ্রাহক কিনা। এছাড়াও স্থানীয় গ্যাস ডিলার থেকেও এই তথ্য জানতে পারবেন।

উজ্জ্বলা যোজনায় ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, ভবিষ্যতে আরও ১ কোটি নতুন পরিবারকে এই যোজনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি প্রতি বছর একটি করে বিনামূল্যে সিলিন্ডার দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। গ্যাসের দামের এই বৃদ্ধির সময় প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ৩০০ টাকার ভর্তুকি দেশের দরিদ্র জনগণের কাছে বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে। যাঁরা এখনও এই যোজনার অন্তর্ভুক্ত হননি, তাঁরা শীঘ্রই আবেদন করে এই সুবিধা পেতে পারেন। সরকার এই প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও করছে, যাতে দেশের প্রত্যেক দরিদ্র পরিবার রান্নার সময় ধোঁয়া মুক্তভাবে জীবন যাপন করতে পারে।