Yusuf Pathan: অধীরের ঘরের মাঠে ছন্দপতন। ব্যাট বলে না হলেও রাজনীতিতে ছক্কা হাঁকিয়ে নিলেন ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। গুজরাট থেকে আসা ইউসুফ পাঠান যিনি ঠিক মতন চেনেন না বহরমপুরকে তিনি হলেন মানুষের রায়ে জয়ী। প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। বহরমপুরে কংগ্রেসের এই ভরাডুবির কারণ অবশ্যই সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং সাম্প্রদায়িকতা বলছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিকে ভোটে জিতে উচ্ছ্বসিত ইউসুফ পাঠান। একসময় অধীরের বিরুদ্ধে এই লড়াই অন্যতম টাফ ফ্যাক্টর হবে বলে তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক সময় তার সতীর্থ সৌরভ গাঙ্গুলী।
সেই ইউসুফ প্রথমবারে এসেই ২৫ বছরের সাংসদকে পরাজিত করলেন। ইউসুফ বলেন খুব ভালো লাগছে এই জয় আমার এবং সবার। আমি খুব খুশি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন উনি সিনিয়র নেতা আমি ওনাকে সম্মান করি আগামীতেও সম্মান করব। কতটা প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন মানুষের। ভোটের আগে যেমন মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তেমন ভাবেই থাকবেন তো মানুষের দরকারে।
ইউসুফ বলেন আমি মাঝে মাঝে এখানে আসব। বহরমপুরে স্পোর্টস একাডেমী তৈরির কথা দিয়েছিলেন তিনি সেটাও তৈরি হবে খুব তাড়াতাড়ি। বাংলা তার তৃতীয় বাড়ি হয়ে গেল বলে জানিয়েছেন ইউসুফ। তিনি বলেন এখানে অনেক আপনজন পেয়েছি। কাছের মানুষ পেয়েছি।
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: আরও বাড়তে চলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, পাবেন ২০০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত
তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন বহরমপুরের মানুষকে তাদের অকুণ্ঠ ভালবাসার জন্য। প্রসঙ্গত গননার প্রথম রাউন্ডে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ইউসুফ। শেষ রাউন্ডের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই দেখা যায় অধীরের থেকে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার। আর তারপরেই গোটা বাংলার মতন মুর্শিদাবাদের এই অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে সূচিত হল তৃণমূলের জয়।