Breakfast For School Student: খালি পেটে কখনো শিক্ষা হয় না। এ কথা মাথায় রেখেই দেশের সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছিল মিড ডে মিল প্রকল্প। কেন্দ্র এবং রাজ্যের সমন্বয়ে চালু করা হয়েছিল এই প্রকল্প। এই মিড ডে মিল প্রকল্পে দ্বিপ্রাহরিক আহার গ্রহণ করেন ছাত্রছাত্রীরা। পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরে পেট ভরে খাবার খেতে পারেন তারা। পাতে পড়ে নানান পুষ্টিকর খাবার।
বর্তমানে ডিম সোয়াবিনের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে মাংস মিষ্টির মতন খাবার। বহু জায়গায় এখনো ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যায় কেবলমাত্র মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য। যদিও প্রচন্ড গরমের কারণে গত কয়েকদিনে মিড ডে মিলের রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন আসে। অধিকাংশ স্কুলে সকালবেলা পাঠ্যক্রম শুরু হয়েছিল। যার ফলে কোন সময়ে মিড ডে মিল দেওয়া হবে তা নিয়ে নানান রকম চাপানোতোর চলেছে।
মর্নিং স্কুলে ব্রেকফাস্ট:
কোন কোন স্কুল শুরু হতে সকাল ছয়টায় শেষ হয়ে যায় নটার মধ্যে। সকালবেলা স্কুলে আসলেই কোনরকম টিফিন কিংবা খাবার না খেয়েই চলে আসে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু পেট খালি রাখতে হবে না তাদের। তাইতো ব্রেকফাস্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সকালবেলায় খালি পেটে পড়ুয়াদের মন বসবে না পড়ায় তাই তাদের জন্য ব্রেকফাস্ট ব্যবস্থা। বিভিন্ন পুষ্টিগুণের সম্পন্ন খাবার দেওয়া হয়।
সেদ্ধ অথবা জলে ভেজানো ছোলা তুলে দেওয়া হচ্ছে ছোট্ট শিশুদের হাতে। এতে একদিকে যেমন পড়ুয়াদের পেট ভরা থাকছে, অন্যদিকে পুষ্টিগুণ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সমস্ত স্কুলে এই ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা করা হয়নি। বরং নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা চালু করেছে একটি বিশেষ স্কুল।
ব্রেকফাস্টে ছোলা:
শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেরাই চাঁদা তুলে এই বন্দোবস্ত করেছে। সকালবেলা স্কুলে এসেই আগে জলে ভেজানো ছোলা খেয়ে ফেলছে শিশুরা। শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের বেতনের টাকা থেকে চাঁদা তুলে এই ব্যবস্থা করেছেন। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নাদন ঘাট রামপুরিয়া হাই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সকালবেলা দেওয়া হচ্ছে ছোলা। কোথাও গরমের জন্য বসানো হচ্ছে কুলার আবার কোথাও এসি। তবে পুষ্টির যাতে কোন ঘাটতি না থাকে পড়ুয়াদের তাই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল। প্রায় ১১০০ ছাত্রছাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে ছোলা।
কতদিন দেওয়া হবে:
যতদিন মর্নিং স্কুল চলবে ততদিন এই ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ।