Britannia Company: রাজ্যে শিল্প নেই চাকরি নেই এমন অভিযোগ রয়েছে বহুদিনের। চাকরির দাবিতে কোথাও চলছে আন্দোলন আবার কোথাও ধর্না। কিন্তু বেকার যুবক-যুবতীদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে কই? তাইতো রাস্তায় বসে চলছে লাগাতার আন্দোলন! কখনো সরকার কখনো বিরোধীপক্ষ একে অপরকে চলছে দোষারোপ আর তার মাঝেই বন্ধ হচ্ছে একের পর এক কারখানা। হুগলির হিন্দ মটর থেকে সিঙ্গুরের চটকল, তালিকাটা অনেক লম্বা।
দুবছর ধরে বাংলায় চাকরির আকাল। চাকরি পেতে পাড়ি দিতে হচ্ছে দূর-দূরান্তে। এবার শৈশবের ইতি টানলো ব্রিটিনিয়া (Britannia Company)। বন্ধ হয়ে গেল জনপ্রিয় ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা। জানা গিয়েছে মে মাস থেকেই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এবার একেবারেই ঝাপ বন্ধ হয়ে গেল। যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়লেন বহু শ্রমিক। ঠিক কি কারনে হঠাৎ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ ব্রিটিনিয়া:
দশ বছর ধরে রাজ্যের মানচিত্রে এক বিরাট জায়গা করে নিয়েছে ব্রিটিনিয়া। তালা পড়ছে একের পর এক কারখানায় এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ব্রিটেনিয়ার নাম। কোম্পানির কিছু স্থায়ী কর্মীরা জানিয়েছেন প্রতিযোগিতার বাজারে তারা টিকে থাকতে পারছেন না। তাই আপাতত এখানেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে প্রশ্ন উঠছে সরকারের শিল্পনীতি নিয়ে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে ক্ষমতায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে দাবি বিরোধীদের। এদিকে ব্রিটিনিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন কয়েক হাজার কর্মী।
কর্মহীনতা:
তাদের কপালে এখন অনিশ্চয়তার ভাঁজ। তারাতলার এই ইউনিটে স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে উৎপাদন। হঠাৎ করে এই ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মনঃক্ষুণ্ণ কারখানার কর্মীরা। যদিও এই ব্যাপারে মালিকপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দিতে নারাজ। কারখানার প্রতিটি দরজায় পড়েছে তালা। নির্নিমেস চোখে তাকিয়ে চাকরিহারারা।
আরও পড়ুন: SaReGaMaPa: কোরাসে গাইতে গাইতে থেকে সারেগামাপা-র প্রতিযোগী, বিচারকদের কাছে বিজয়ী ঘোষণা সপ্তপর্ণী