Rathyatra 2024: আগামী ৭ জুলাই রথযাত্রা। বাঙালি বারো মাসের ১৩-পার্বণের মধ্যে একটি এই রথযাত্রা। এই রথযাত্রার সম্পর্কে রয়েছে নানান অজানা তথ্য এবং পৌরাণিক কাহিনী। যা অনেকেই জানেন না। হিন্দু শাস্ত্র কিংবা হিন্দু পুরাণ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এই রথ যাত্রার আবেগ এবং মাহাত্ম্য কোন অংশে কম নয়। কেন পালিত হয় রথযাত্রা।
➥ পুরান অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমায় ১০৮ কলসি জল দুধ মধু ঘৃত ইত্যাদি দিয়ে স্নান করেন জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা। তাকে বলা হয় স্নানযাত্রা। এর ফলে প্রবল জ্বরে পড়েন তারা।
➥সেই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ রেখে তাদের সেবা-শুশ্রূষা করা হয় রাজ বৈদ্য ডেকে। ১৫ দিন পর আবার সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দরজা।
➥আষাঢ় মাসের শুক্লা প্রতি পদে নেত্রস্থান করানো হয়। ভগবানের নেত্র দেখার সৌভাগ্য হয় ভক্তদের। শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয় দিনে মাসির বাড়িতে বেড়াতে যান জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা। মাসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আবার জ্বরে পড়েন জগন্নাথ তখন তাকে শুশ্রূষা করেন মাসি। মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরের সাত দিন থাকেন তিন ভাইবোন।
➥ রথ তৈরি করা হয় প্রায় এক বছর আগে। বনদপ্তরের তরফ থেকে অনুমতি নিয়ে বিশেষ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় রথ। সোনার কুঠার দিয়ে কাটা হয় রথের কাঠ। এরপরে তা বিভিন্ন আকৃতি করে বানানো হয়।
➥ তিনজনের তিন রকম রথ রয়েছে। জগন্নাথের রথের নাম নন্দক, কালো এবং হলুদ রং। বলরামের রথের নাম ভোলুভ যেটি লাল এবং সবুজ রঙের। সুভদ্রার রথের নাম দেবদাস যার রং হলুদ এবং কালো। প্রতিটি রথের চারিদিকে আঁকা থাকে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী।
➥ রথ যাত্রার পরে শ্রীকৃষ্ণ তার দুই ভাই বোনকে নিয়ে পরিক্রমণ করেন। এরপরে পালন করা হয় হীরা পঞ্চমী। এই সময় মা লক্ষ্মী আসেন জগন্নাথের সঙ্গে দেখা করতে।
➥ আষাঢ় মাসের দশমী তিথিতে মহা ভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথকে। আবার জগন্নাথ বললাম এবং সুভদ্রা তিনজন ভাই-বোন নগর পরিক্রমায় বেরিয়ে যান। তাদের সঙ্গে বেরিয়ে যান ভক্তরা মনে করা হয় রথের রশি টানা অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। সবাই এই কাজ করতে পারেন না।
➥রথযাত্রা শেষে একাদশী পক্ষে আবার তিন ভাইবোন অধিষ্ঠিত হন মূল মন্দিরে। মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। এভাবেই প্রচারিত হয় রথ যাত্রার মাহাত্ম্য।।
আরও পড়ুন: Rathyatra 2024: জানেন কীভাবে এল ‘রথ দেখা, কলা বেচা’ প্রবাদটি? জেনে নিন সেই মজার গল্প