Electricity Consumption: সম্প্রতি এপ্রিল মাস থেকেই গরমের দাবদাহে নাজেহাল বঙ্গবাসী। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় প্রায় পাগল পাগল অবস্থা মানুষের। এহেন পরিস্থিতিতে বাড়িতে একদণ্ড ফ্যান ছাড়া থাকা অসম্ভব। তবে ফ্যানের হাওয়া এককথায় গায়ে লাগে না বলেই চলে। তাই মানুষ এসি ও কুলার কিনতে বাধ্য হয়েছে। তবে এসি বা কুলার কিনলেই তো হলোনা তার সাথে বৈদ্যুতিক বিল ও আসে আকাশ ছোঁয়া। তাছাড়াও বাড়িতে টিভি ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মেশিন ও চলে সব মিলিয়ে মাসের শেষে বিল (Electricity Consumption) দেখে মানুষের মাথায় হাত পড়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়। এবার CESC এর বিলের উপর ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের খরচ বাড়তে চলেছে।
CESC এর বিদ্যুতের বিলের খরচ বাড়ানোর চিঠি:
2017 সালের জানুয়ারিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি বাবদ মাশুল শেষবার বাড়িয়েছিল CESC। এখন ইউনিট প্রতি গড় মাশুল দিতে হয় 7টাকা 31 পয়সা। সম্প্রতি কমিশনের কাছে CESC অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স রিভিউ ও ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পারচেজ কস্ট অ্যাডজাস্টমেন্ট এর একটি পিটিশন জমা দেয়। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে, 2019-20, 2020-21 ও 2021-22 সালে ব্যয় যথাক্রমে 1161.73 কোটি, 1123 কোটি ও 1244.72 কোটি টাকা বেশি হয়েছে। এবার সেই অর্থ যদি তারা আদায় করে তাহলে 2024-25, 2025-25 ও 2026-27 সালে গ্রাহকদের ইউনিট প্রতি গড় মাশুল সুদ-সহ যথাক্রমে আরও 1.60 টাকা, 1.50 টাকা ও 1.50 টাকা দিতে হবে। যা গ্রাহকদের কাছে অনেকটাই।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিদ্যুৎ ইউনিটের দাম বৃদ্ধিতে CESC র কোনো দোষ নেই, কারণ আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর 30 নভেম্বরের মধ্যে কমিশনের কাছে APR ও FPPCA দাখিল করতে হয়। CESC আইন মেনে প্রত্যেক বছরেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তা জমা দিলেও কমিশন তা পেয়েও চুপচাপ ছিল। যদি প্রতি বছর কমিশন CESC-র APR ও FPPCA-র নির্দেশ বের করে দিত, তা হলে গ্রাহকদের এতটা চাপে পড়তে হত না।
বস্তি উন্নয়ন সমিতির দাবি
কিন্তু গত প্রায় সাড়ে 7 বছর বাড়তি টাকা মাসিক বিলে যোগ করে আদায় করেনি CESC। এদিকে, CESC-র গ্রাহকদের বিদ্যুৎ মাশুল বাড়ার যে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি। বুধবার তারা এ ব্যাপারে কমিশনের কাছে লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন। তাঁদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে যে রাজ্যে সমস্ত পরিবারকে মাসে বিনামূল্যে যেন 200 ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়া হয়।