জি বাংলার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো নিম ফুলের মধু। একটি একান্নবর্তী পারিবারিক সংসারের মেলবন্ধন তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে। গত পর্বে দেখানো হয়েছে দত্ত বাড়ির জিনিয়াস আলোকপর্না দত্ত ছিনতাই বাজদের লিডার মেঘনাথকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। একটা সমস্যা মিটতে না মিটতেই আর একটা সমস্যা হাজির হয়ে যায় পর্ণার সামনে। বর্তমানে নতুন সমস্যা হলো চয়ন এবং রুচিরা র সম্পর্ক।
দত্ত বাড়ির ছেলে চয়ন পর্নার বান্ধবী রুচিরাকে মনে মনে যে বেশ পছন্দ করে সেটা সে মুখ ফোটে না বললেও তার হাভ ভাবে স্পষ্টই বোঝা যায়। আর সেটা সৃজন সহ বাড়ির প্রায় সকলেই জেনে ফেলেছে। আর সেই সম্পর্কের কথা নিয়েই পর্ণা এবং সৃজনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে। সৃজন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে সে যেন রুচিরাকে তাদের বাড়ি আসতে বারণ করে দেয়। কিন্তু পর্না সেই কথার স্পষ্ট ভাবে জবাব দেয় যে সে কখনোই এই কাজ করতে পারবে না।
একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হওয়ার মধ্যে সে কখনোই বাধা সৃষ্টি করবে না, এটাই জানিয়ে দেয় পর্ণা। কিন্তু পর্ণা মনে মনে ভয় পেতে থাকে যে বাড়ির সকলে ই এই সম্পর্ক মেনে নেবে কিনা আর তার জন্য সে চয়নকে আলাদাভাবে ডেকে জানতে চাই সে রুচি ডাকে ভালোবেসে বাড়ির সকলের বিরুদ্ধে যেতে পারবে কিনা। তখন পর্ণাও তার মুখে পজিটিভ উত্তর শুনে তার পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।
অন্যদিকে সৃজন আর পর্ণার মধ্যেকার মনোমালিন্য হওয়াটাকে কাজে লাগিয়ে বাড়ি থেকে পর্ণাকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করে কৃষ্ণা। আর এই কাজে মূল অস্ত্র হিসাবে সে ইশাকে ব্যবহার করে। তাই ইশা চয়ন ও পর্ণার মধ্যেকার কথা আড়াল থেকে শুনে সে পর্ণাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর একটা মোক্ষম উপায় বার করতে থাকে।
অন্যদিকে চয়ন যখন ঘরে প্র্যাকটিস করছিলেন তখন তার বাবা তার পিছন থেকে কখন এসে দাঁড়িয়েছে সে জানতেই পারেনি। তাই বাবাকেই আই লাভ ইউ বলে জড়িয়ে ধারায় ধ্যাস্টামো জেঠু তুমুল কাণ্ড বাধালেন। তারপর জেঠু আর কি কি কাণ্ড করলেন বা চয়নকে কি বললেন সেসব জানার জন্য অবশ্যই চোখ রাখতে হবে টিভির পর্দায় আগামী পর্ব গুলোর দিকে।