Kar Kache Koi Moner Katha: নিজের বুদ্ধি সর্বদাই বন্ধক দেন অন্যের কাছে। তাই বারবার নিজেকে পাল্টে ফেলেন কার কাছে কই মনের কথা (Kar kache koi moner kotha) ধারাবাহিকের মধুবালা চরিত্রটি। এই চরিত্রে অভিনয় করে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী রিতা দত্ত চক্রবর্তী। তার ছোট ছেলে জেলে যেতেই বড় বৌমার প্রতি শুরু হয়েছিল তার অবিচার। তিনি অভিযোগ করেন বড় বৌমা ইচ্ছাকৃত তার ছোট ছেলেকে জেলে পাঠিয়েছে। এমনকি তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন তিনি। আবার শিমুলকে ভুল বুঝতে শুরু করেন মধুবালা।
মা না হওয়ার জন্য তাকে খোটা দিতে থাকেন। অন্যদিকে শাশুড়িকে আগে থেকেই চিনতে পেরেছে শিমুল। তার এই স্বভাব নিয়ে তাকেও খোঁচা দিয়েছেন শিমুল। একদিকে যখন মরণাপন্ন পুতুলের স্বামী, ঠিক সেই সময় গান গেয়ে টাকা রোজগার করার চেষ্টা করছে পুতুল। তার পাশে দাঁড়িয়েছে ভাই এবং ভাইয়ের বউ। তারাও নিজেদের সামর্থ্য মতো চেষ্টা করছে তীর্থকে সুস্থ করে তোলার।
এদিকে প্রতীক্ষা গান গেয়ে টাকা তোলার জন্য পুতুলকে ভিখারি বলে অপমান করেছে। এমনকি তার শাশুড়িকে ব্রেন ওয়াশ করেছে। এই কথা শুনে শিমুলের প্রতি রেগে যান মধুবালা। তার মেয়েকে ভিখারি বানানোর জন্য সমস্ত রাগ উগড়ে দেন। যদিও এবার আবার নিজের মন পরিবর্তন করলেন মধুবালা। পুতুলের বরের চিকিৎসার জন্য প্রায় কুড়ি লাখ টাকা প্রয়োজন। ব্যাংক থেকে লোন তুলেছে শিমুল।
Kar Kache Koi Moner Katha New Episode:
বাকি টাকা জোগাড় করতে গয়না বন্ধক দেবার কথা ভেবেছে তবুও এই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এমন সময় মধুবালা জানান মেয়ের এই বিপদে তিনি বাড়ি বন্ধক রাখবেন। এই সময় হঠাৎ রেগে ওঠে প্রতীক্ষা। শাশুড়ির কাছে এসে দাবি করে তার বরকে ছাড়িয়ে আনতে হবে জেল থেকে। তখন সকলকে চমকে মধুবালা বলে ওঠেন তিনি বাড়ি বন্ধক দেবেন মেয়ের জন্য কিন্তু ওই অপরাধী ছেলেকে ছাড়াবেন না।
এমনকি শিমুল যে বাড়ি ছাড়া কথা বলেছিল সেটাও সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দিলেন। অন্যদিকে সুচরিতা এবং শীর্ষা দুজনেই শিমুলের বিপদে হাত বাড়িয়ে দেয়। সুচরিতার প্রেমিক বিদেশ থেকে দশ লাখ টাকার চেক পাঠিয়েছে। এটা দেখে কেঁদে ফেলে শিমুল। সে বলে এবার আর বাড়ি বন্ধক রাখতে হবে না। এভাবেই পুতুলের পাশে দাঁড়িয়ে তার স্বামীকে সুস্থ করে তোলার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সকলে।