Rachna Banerjee: হুগলিতে জয় পেয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেটকে হারিয়ে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন প্রথমবারই। অভিনেত্রী হিসেবে নয় দিদি নাম্বার ওয়ান হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন রচনা (Rachna Banerjee)। তাকে একপ্রকার জোড় করে রাজনীতিতে নামিয়ে চমক দিয়েছেন মমতা। সংসদে গেলেও দিদি নাম্বার ওয়ান ছাড়বেন না বলে কথা দিয়েছেন রচনা। দুটো দায়িত্ব কষ্ট হলেও পালন করবেন। দিদি নাম্বার ওয়ানে একটি এপিসোডে সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন রোশনি ভট্টাচার্য। সিরিয়াল থেকে সিনেমায় ব্রেক পেয়েছেন রোশনি।
বিয়ের পরে কপালটা বেশ খুলেছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি অতি উত্তম এ তিনি নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন। এদিন এই এপিসোডে এসে রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে গল্প করতে দেখা যায় তাকে। রচনা তাকে প্রশ্ন করার আগেই তিনি দিদিকে একাধিক প্রশ্নের জর্জরিত করলেন। মা মেয়ে এবং অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে দশের মধ্যে কত দেবেন রচনা প্রশ্ন করেন রোশনি। রচনা মা হিসেবে নিজেকে দশের মধ্যে দিয়েছেন পাঁচ। কিন্তু কেন এতটা কম নম্বর দিলেন।
অভিনেত্রী বলেন আমি ছেলেকে একদম সময় দিতে পারি না। মা বাবাকে সন্তানকে ভালো করতে হলে সব সময় সেক্রিফাইস করতে হয়। যতটুকু পারি ততটুকু করি। তাই জন্যই নিজেকে ৫ দিয়েছি। কিন্তু যারা এটাও পারে না তারা শূন্য পাবে। এবার নিজের মায়ের কথা বলতে গিয়ে রচনা বলেন মা তো মা তবে আমার কাছে আমার বাবা ভীষণ প্রিয় ছিলেন। আমার এক থেকে নব্বই বাবা এবং বাকিটা মা।
আমার বাবার আমার প্রতি অনেক কর্তব্য এবং অবদান রয়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে ছয় থেকে সাত দিয়েছেন তিনি। রচনা বলেন নিজের সাধ্যমত যতোটুকু পারি ততটুকু করেছি। তবে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে দাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। একসাথে এতগুলো ভাষায় কাজ করা শুধুমাত্র আমার ক্ষমতা নয় ভাগ্য বটে। পরিশ্রম করো তবে ভাগ্যে যতোটুকু আছে পাওয়া যাবে। এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের স্মৃতিচারণে রচনা বলেন দেখতে দেখতে ১৩ বছর হয়ে গেল।
রচনা এবং তার স্বামী প্রবালের ছেলে প্রনিল বসু। এবারেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। পড়াশুনা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। প্রায় ৯ বছর একসাথে থাকেন না রচনা এবং তার স্বামী। তবে ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা বিচ্ছেদ নেননি। নির্বাচনী প্রচারে রচনার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল প্রবালকে। স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে তিনি বলেন রচনা এমনই! ও যা ধরে সেটা সোনা হয়ে যায়। এবারেও সাফল্য পাবে, স্বামীর এই ভবিষ্যৎবাণী অবশেষে খেটে গেল রচনার জীবনে।