অভিনয় জগতে কাজ করলেও সফলতা তখনই পাওয়া যায়, যখন প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ মিলে! এই কথা আমরা বলছি না। এমন চিন্তা ধারা অনেক মানুষেরই। সিনেমায় অভিনয় করা মানেই প্রধান চরিত্রে কাজ করা! এমনকি পার্শ্ব চরিত্রে যেসব অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা কাজ করেন অনেকে তাঁদেরকে অযোগ্য বলেই মনে করে থাকেন। যদিও সময়ের সাথে সাথে এই চিন্তাধারার অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তাও পুরোপুরি মেটেনি।
বর্তমান সময়ে বলিউডের (Bollywood ) একজন বিখ্যাত অভিনেতা হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি (Pankaj Tripathi)। তিনি একসময় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতেন। এমনকি এখনও তাঁকে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করতে দেখা যায়। এছাড়াও রয়েছেন টলিউডের অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)। তাঁকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পার্শ্ব চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখা গেছে। কিন্তু আজ তাঁরাই খ্যাতির শীর্ষে রয়েছেন। ঠিক সেইভাবে বাংলা টেলিভিশনের জগতেও এমন অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের গোটা কেরিয়ারে পার্শ্ব চরিত্রেই কাজ করেছেন। তবে এখনকার সময়ে এমন অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন যাঁদের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন ওঠে।

তবে আজ আমরা এমন একজন অভিনেত্রীর কথা বলব, যিনি কখনও নায়িকার তকমা পাননি। কিন্তু নিজের অভিনয় দক্ষতার কারণে আজ দর্শকদের মনে রাজত্ব করছেন। আমরা কথা বলছি অভিনেত্রী সাহানা সেনের (Sahana Sen) সম্পর্কে। ২০০৭-২০০৮ সাল নাগাদ তাঁর এই যাত্রা শুরু। সবার প্রথমে তিনি কাজ করেছিলেন ‘প্রতিদান’ (Pratidan) ধারাবাহিকে। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

এতগুলো বছরে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রতিটি চরিত্রই পর্দায় খুব সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম এই অভিনেত্রী। কখনও তাঁকে দেখা গেছে বোনের চরিত্রে, কখনও আবার দিদির চরিত্র, কখনও জা -এর চরিত্রে, তো আবার কখনও ননদের চরিত্রে।

তিনি অভিনয় শুরু করেছিলেন থিয়েটার থেকে। গত ১৫ বছরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করে ফেলেছেন তিনি। তাঁকে শেষবার ‘ধূলোকণা’, ‘গোধূলি আলাপ’ আর ‘মেয়েবেলা’ ধারাবাহিকে দেখা গেছে।