Kolkata Metro: আরো এগিয়ে যাচ্ছে কলকাতা মেট্রো। চলছে সংস্করণ এবং সম্প্রসারণের কাজ। এবার লোকাল ট্রেনের মতোই গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে মেট্রোর। ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন মেট্রোর মুকুট এর আগেই মাথায় পড়ে নিয়েছে কলকাতা মেট্রো। এবার কলকাতা মেট্রোর পথ চলা হবে আরো সহজ। বউ বাজারে নিচ দিয়ে হাওড়া সেক্টর ফাইভ মেট্রোর পাঁচটি ক্রস প্যাসেজ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
ইমারজেন্সি কাজ:
কেএমআরসিএল ইমারজেন্সি ইভাকুয়েশন শ্যাফট তৈরির কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। আর এই কাজ সম্পন্ন হলে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলবে মেট্রো। হাওড়া ময়দান এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে যে দূরত্ব ঘুচে গিয়েছে সেই একই দূরত্ব ঘুচে যাবে শিয়ালদহ লাইনে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর দুর্গাপুজোর সময় এখান থেকে মেট্রো চলবে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে (Kolkata Metro)।
তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দুর্গাপুজোর সময় নয় বরং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকে মেট্রো চলবে এই লাইনে। কি এই ক্রস প্যাসেজ। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে দুটি বিপরীতমুখী চ্যানেল একসঙ্গে যুক্ত হতে পারে। আড়াআড়িভাবে সংযোগ করে যে টানল তৈরি করা হয় তাকেই বলা হয় এই ক্রস প্যাসেজ। একটি টানেলে যদি কোন রকম বিপত্তি ঘটে তবে যাত্রীরা অন্য টানেল দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। মেট্রো চলাচলে মাঝেমধ্যেই নানান রকম গোলযোগের সৃষ্টি হয় সাধারণ ট্রেনের তুলনায়। সেই গোলযোগ আর পোহাতে হবে না যাত্রীদের।
ফিরছেন বাসিন্দারা:
ধর্মতলা এবং শিয়ালদহের মধ্যে এখনো পর্যন্ত এমন ক্রস তৈরি করা হবে ৫ টি। দুটি চ্যানেলের মধ্যে দূরত্ব হবে ২৭৫ মিটার। এই প্যাসেজের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। কিন্তু বউ বাজারে ঘটে যায় বিপত্তি। বউ বাজারে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরে। সাময়িকভাবে এই কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপরে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়।
হিন্দ সিনেমা হলের সামনে ইন্টারভেনটিলেশন শ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল।বেশ কিছু বাড়ির বাসিন্দা দোকানে এবং অফিসকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মদন দত্ত লেনের নিচ থেকে এই কাজ শুরু হয়। এবার কাজ শেষ হয়েছে তাই যারা পুনর্বাসনের জন্য অন্যত্র গিয়েছিলেন তাদের আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দোকান কিংবা বাড়ি ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।